লিহান লিমা: [২] যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কাবুল বিমানবন্দরের বাহিরে জনতার তীব্র সমাগমের চাপে পড়ে ৭জন নিহত হয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানায়, কাবুল বিমানবন্দরের পরিস্থিতি খুবই চ্যালেঞ্জিং কিন্তু নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বজায় রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে। বিবিসি
[৩]ন্যাটো এবং তালেবানের কর্মকর্তারা বলেছেন, গত রোববার থেকে সিঙ্গেল রানওয়ে এয়ারফিল্ডে এবং এর আশেপাশে কমপক্ষে ১২জন নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, এদের মধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং অন্যরা পায়ের নিচে চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন।
[৪]হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে প্রায় সাড়ে চার হাজার মার্কিন সেনা ও ৯’শ ব্রিটিশ সেনা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। তালেবান সেনারা বিমানবন্দরে প্রবেশের মূল রাস্তাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং ট্রাভেল ডকুমেন্ট ব্যতীত আফগানদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। তারা বিমানবন্দরের বাহিরে ভিড় না জমাতে এবং লাইন মেনে কাগজপত্র দেখিয়ে প্রবেশ করার নির্দেশ দিয়েছে।
[৫]কাবুল বিমানবন্দরের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে বন্দর থেকে দূরে থাকতে নিজেদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। যুক্তরাষ্ট্র কাবুলে আইএস বা সশস্ত্র গোষ্ঠির সম্ভাব্য হামলার সতর্কতা জারি করেছে।
[৬]ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান বলেছেন, মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ৩১ আগস্টের সময়সীমার মধ্যে আফগানিস্তান থেকে দ্বৈত নাগরিক এবং শরণার্থীদের সরিয়ে নেয়া অসম্ভব। তালেবান দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে শত শত স্থানীয় আফগান নাগরিক দেশ ছাড়তে মরিয়া হয়ে রয়েছেন।
[৭]অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছে, শনিবার রাতে তার দেশ ৪টি ফ্লাইটে অস্ট্রেলিয়ান, আফগান ভিসাধারী, নিউজিল্যান্ডবাসী, মার্কিন এবং ব্রিটিশ নাগরিকসহ ৩’শজনের বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে। বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলার কারণে সুইজারল্যান্ড শনিবার কাবুল থেকে একটি চার্টার ফ্লাইট স্থগিত করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :