আর রাজি: এ নিয়ে কোনো তর্কের অবকাশ নেই যে, বিএনপি-জামায়াত শাসন আমলে গণতন্ত্রকে বিপদগ্রস্ত করতে সম্ভাব্য সব কাজই করা হয়েছিল। চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ইত্যাদি যেসব অজুহাতের কথাই বলা হোক না কেনো তার দায়ভার সম্পূর্ণভাবে শাসক-গোষ্ঠীর। ২১শে আগস্ট-কলঙ্কের দায়ভারও একই বিবেচনায় সেই সময়ের শাসকদের।
যে উদ্দেশ্যে সেদিন বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতাসীন শ্রেণীটি একের পর এক নানান অপকর্ম করে চলেছিল তার পরিণাম হয়েছে তাদের জন্যও ভয়ঙ্কর। তারা কেবল ক্ষমতা থেকে দীর্ঘ দিনের জন্য ছিটকেই পড়েনি বরং কুড়িয়েছে বিবেকবান, গণতন্ত্রকামী মানুষের দ্বিধাহীন ঘৃণা।
ইতিহাস বলে, যারাই গণতন্ত্রকে বিপন্ন করেছে, নানান কৌশল করে নিজেদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার ফন্দি এঁটেছে, তাদের ভাগ্যে জুটেছে একই করুণ পরিণতি। যারা মনে করে, বুদ্ধি করে, কৌশল নিয়ে, গণতন্ত্রকে দুমড়ে-মুচড়ে কিংবা গণতান্ত্রিক চর্চাকে বোকা বানিয়ে ক্ষমতায় থাকা যায়, মানুষের মঙ্গলে কাজ করা যায়, তারা ইতিহাসের শিক্ষাকে কেবল অস্বীকারই করে না বরং ইতিহাসের শিকারে পরিণত হওয়ার পথে যাত্রাও শুরু করে।
২১শে আগস্টের গ্রেনেড-হামলা এবং সে সময়ের বিরোধী দলের নেতাকে খুনের চেষ্টা কেবল ন্যাক্কারজনকই নয় বরং শাসকগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষামূলকও বটে। সেই শিক্ষাটা হচ্ছে। গণতন্ত্রকে যদি ক্ষমতায় থাকার সামান্য অন্তরায়ও মনে হয়, তাহলে শাসক দলের উচিত, বুদ্ধি খাটিয়ে, নানান কৌশল না নিয়ে বরং দেশে আরো বেশি গণতন্ত্র নিশ্চিত করা।
আপনার মতামত লিখুন :