সুমাইয়া ঐশী: [২] সাধারণত সূর্যের আলো কম পৌঁছানোর কারণে পৃথিবীর শীতলতম স্থানগুলোর একটি ধরা হয় গ্রিনল্যান্ডকে। এই স্থানের তাপমাত্রা সবসময় হিমাঙ্কের নিচে থাকায় সাধারণত তুষারপাত হতে দেখা যায়। তবে শনিবার প্রথমবারের মতো তুষারপাতের বদলে গ্রিনল্যান্ডে বৃষ্টিপাত হতে দেখলো মানবজাতি। এক দশকের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো শনিবার গ্রিনল্যান্ডের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ওপরে উঠলো। ইয়ন
[৩] বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর কারণ গ্রিনল্যান্ডের বাতাস দ্রুত গতিতে উত্তপ্ত হচ্ছে। অতি দ্রুত বরফ গলে যাওয়াকেও দায়ী করা হচ্ছে। যার ফল হিসেবে একদিনেই ৭ বিলিয়ন টন পানি বৃষ্টি আকারে ঝরে পড়েছে গ্রিনল্যান্ডের সর্বোচ্চ চূড়ায়। হিসাব বলছে, এই পরিমাণ পানি দিয়ে ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল মলের ২ হাজার ২৮ ফুট লম্বা এবং ১৬৭ ফুট চওড়া রিফ্লেক্টিং পুলকে ২ লাখ ৫০ হাজার বার পূর্ণ করা যাবে। সিএনএন
[৪] জুলাই মাসে গ্রিনল্যান্ডে বরফ গলার সর্বোচ্চ রেকর্ড ধারণ করা হয়। ঐ মাসে একদিনেই ৮.৫ বিলিয়ন টন বরফ হারায় গ্রিনল্যান্ড, যার দ্বারা ফ্লোরিডাকে দুই ইঞ্চি পানির নিচে ডুবিয়ে দেওয়া সম্ভব। এছাড়া ২০১৯ সালে ৫৩২ বিলিয়ন টন বরফ গলে যায় যার মাধ্যমে সমুদ্রের স্তর স্থায়ীভাবে ১.৫ মিলিমিটার বৃদ্ধি পায়। দ্য গার্ডিয়ান
[৫] বরফ গলার এই হার ছাড়াও সম্প্রতি মারাত্মক দাবদাহ, অতিবৃষ্টি, অপ্রত্যাশিত বন্যা এবং দাবানলের কারণে প্রকৃতি চূড়ান্ত সতর্কতা দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে প্রকাশিত গুরুপূর্ণ রিপোর্ট বলছে, এখন পর্যন্ত প্রকৃতিতে মানুষ যে পরিমাণ ক্ষতি করেছে তা আগামী হাজার বছরে আগের অবস্থানে যাবে কি না সন্দেহ।
আপনার মতামত লিখুন :