মাসুদ আলম: [২] শনিবার (২১ আগস্ট) সকাল ৯টায় চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকার একটি ভবনের তিন তলা এমিকন গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সাভির্সের ১৫টি ইউনিট চার ঘণ্টা চেষ্টার পর দুপুর ১টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে বিমান বাহিনী, পুলিশ ও র্যাব। এসময় ওই এলাকায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। আশপাশের সড়ক গুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
[৩] ফায়ার সাভির্সের পরিচালক জিল্লুর রহমান জানান, ভবনটিতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিলো না। ভবনটির তৃতীয় তলায় এমিকন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের গোডাউন আছে। এই গোডাউনে ক্রেস্ট তৈরি করা হতো। গোডাউন ভেতরে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ ও কাঠ ছিলো। বিল্ডিং কোড অনুযায়ী আমরা এখনো ভবনটিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা দেখতে পাইনি। বলতে গেলে ভবনের নিজস্ব কোনো ফায়ারফাইটিং ব্যবস্থা ছিলো না।
[৪] ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ভবনে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকলে ও কর্তৃপক্ষের গাফলতি থাকলে তা তদন্ত করে দেখা হবে। ভবনটির দুই ও তিন তলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। এখানে এমিকন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের শোরুম ও কারখানা ছিলো। যেখানে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ ছিল। ফলে আগুনের নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে।
[৫] তিনি আরও বলেন, হতাহতের খবর আমরা পাইনি। গোডাউনে বিভিন্ন মালামাল থাকায় আগুন অনেকক্ষণ জ্বলেছিলো। ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা সব সময় নেওয়া হয়। আগুন লাগার পর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয়া হয় যেনো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। এ ঘটনায়ও তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।
আপনার মতামত লিখুন :