ইমরুল শাহেদ: শিশুশিল্পী থেকে নায়িকা হওয়া দীঘির যাত্রা শুরু হয়েছে শাপলা মিডিয়া থেকে। এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের বেশ ক’টি ছবিতে কাজ করার কথা ছিল দীঘির। কিন্তু মাঝে মতবিরোধের কারণে বেশ কয়েকটি ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয় তাকে। কিছু দিন আগে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে শাপলা মিডিয়ার অ্যাপস ‘সিনেবাজ’-এর উদ্বোধন কালে অনুষ্ঠানে উপস্থিত দেখা যায় দীঘিকে। তখনই বুঝা গেল শাপলা মিডিয়ার সঙ্গে তার মতবিরোধ শেষ হয়ে গেছে। তবে শাপলা মিডিয়া এখনো তাকে নিয়ে কোনো পরিকল্পনা তৈরি করেনি। দীঘির সঙ্গে শাপলা মিডিয়ার দূরত্ব তৈরি হওয়ার পর কর্ণধার সেলিম খান তনয় শান্ত খানও নতুন কোনো ছবিতে কাজ করেনি। ইতোমধ্যে এই যুগলের ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ ছবিটি সিনেমা হল এবং অ্যাপসে মুক্তি পেয়েছে। দীঘি অভিনীত দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘তুমি আছো তুমি নেই’ ছবিটিও মুক্তি পেয়েছে। তবে শিশু শিল্পী হিসেবে দীঘির যে জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়, সে জনপ্রিয়তা নায়িকা দীঘির ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। তবে দীঘি নামটি দর্শকের কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত। দীঘি ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘বঙ্গবন্ধু’ বায়োপিকে বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসা রেনুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। দর্শক প্রতিক্রিয়া নিয়ে দীঘি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নায়িকা হওয়ার পর কিছু পরিবর্তন তো এসেছেই। ভক্তরা একটু নতুনভাবেই দেখছে। আগে শিশুশিল্পী বলতো, এখন নায়িকা বলে। আর দুটো সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পর মানুষ আরও বেশি গ্রহণ করে নিয়েছে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় আরও কিছু সিনেমা করা দরকার। তাহলে নিজেকে প্রমাণ করতে পারবো।’ ‘একজন পাবলিক ফিগারের যেমন অনেক ভক্ত থাকে তেমনি হেটারসও কিন্তু থাকে। আগে হয়তোবা হেটারস একটু কম ছিল। এখন বেড়েছে। আসলে তাদেরকে ঠিক হেটারস বলবো না। তারা আমার অন্যরকম শুভাকাংখী। তাই সমালোচনা করেছে। তারা চেয়েছে আমি পরবর্তীতে ভালো কিছু করি।’ দীঘি অভিনীত ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ ছবিটি স্কুল-কলেজে দেখানো হবে নিয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই অনেক গর্বের। কারণ যখন সিনেমাটা করি টিমের কেউই ভাবতে পারিনি এই সিনেমা এত দূর যাবে।’
আপনার মতামত লিখুন :