আব্দুল্লাহ মামুন: [২] জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বালিঘাটায় গ্রামবাসীর বুদ্ধিতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন একটি ট্রেনের প্রায় এক হাজার যাত্রী। শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৬টায় বালিঘাটার কোকতারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সময়টিভি
[৩] গ্রামবাসীরা জানায়, গ্রামের শফিকুল ইসলাম, ভাতিজা গোলজার হোসেন ও স্থানীয় তরুণ নাজির হোসেন সকালে হাঁটতে গিয়ে রেল লাইনের একটি অংশ ভাঙা দেখতে পান। ততক্ষণে সকালের ট্রেন পঞ্চগড় এক্সপ্রেস পার হওয়ার সময় হয়ে গেছে। তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন ট্রেনটি থামাবেন, নয়তো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ সময় তারা লাইনের ভাঙা অংশ থেকে বেশ কিছুটা সামনে এগিয়ে যান এবং লাল গামছা নিয়ে লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকেন।
[৪] ট্রেনের লোকোমাস্টার শাহ আলম জানান, ট্রেনটি চলছিল ঘণ্টায় প্রায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কোকতারা এলাকায় কয়েকজন লোক লাল গামছা নেড়ে ট্রেন থামানোর জন্য সংকেত দেন। এ সময় আমরা ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করি। থামার পর দেখা যায়, মাত্র ৫০ গজ দূরেই লাইনের একটা অংশ প্রায় ৮ ইঞ্চি জায়গা ভেঙে রয়েছে। কালের কন্ঠ
[৫] জানা গেছে, স্থানীয় শফিকুল ইসলাম, তার ভাতিজা গোলজার হোসেন ও স্থানীয় তরুণ নাজির হোসেন রেল লাইনের ভাঙা অংশ দেখে ট্রেন থামানোর সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তারা একটি লাল কাপড় নিয়ে বেশ কিছুদূর এগিয়ে যান। আর শফিকুল ও গোলজার লাল গামছা নিয়ে অবস্থান নেন ভাঙা অংশের সামনে। সংকেত দেখে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধাবমান ট্রেনটি দ্রুত থামিয়ে ফেলা সম্ভব হয় লোকোমাস্টারের পক্ষে।
আপনার মতামত লিখুন :