সুজন কৈরী : [২] পেশাদার ডাকাত দলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ।
[৩] গৃহশিক্ষক হিসেবে বাসা-বাড়িতে যাতায়াতের সুযোগে ছাত্র-ছাত্রীর পরিবারের আর্থিক অবস্থার খোঁজ ডাকাতদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন তারা। ওই তথ্যের ভিত্তিতে হামলা করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিচ্ছে ডাকাতরা।
[৪] গত বুধবার রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে ডাকাত চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তার চারজন হলেন- রফিকুল ইসলাম বাবু, ফিরোজ আলম, রিয়াজুল ইসলাম ও কামরুল ইসলাম। তাদের ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
[৫] পুলিশ বলছে, বাসা-বাড়িতে চুরি-ডাকাতিতে জড়িয়ে পড়ছে কাজের লোক ও নিরাপত্তা কর্মীদের অনেকে। সম্পদের লোভে কখনও কখনও খুন করতেও পিছপা হন না তারা। রাজধানীতে গত এক বছরে এ ধরনের ঘটনায় অন্তত ১৭টি মামলা হয়েছে।
[৬] ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (গোয়েন্দা বিভাগ-প্রশাসন) মাহবুব আলম বলেন, বাসার কাজের লোক, দারোয়ান এবং নিরাপত্তারক্ষীরা ডাকাতদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে থাকে। এভাবেই ডাকাত দলের সদস্যরা তাদের অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে থাকে।
[৭] মাহবুব আলম আরও বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতরা বিভিন্ন বাসায় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি করে। গ্রেপ্তার প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা রয়েছে।
[৮] গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে টার্গেট বাসায় গভীর রাতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে বাসিন্দাদের জিম্মি করে ডাকাতেরা। নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হয়। এই টাকার ভাগ পেয়ে থাকেন তথ্যদাতারাও। ডাকাতিতে সহায়তাকারী গৃহশিক্ষক, কাজের লোক ও নিরাপত্তাকর্মীদের তালিকা তৈরি করে গ্রেপ্তার অভিযানে নেমেছে গোয়েন্দা পুলিশ। সূত্র: ডিবিসি টিভি অনলাইন
আপনার মতামত লিখুন :