সমীরণ রায়: [২] অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেন, আগে সরকারি ব্যাংকগুলো সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে রিফাইন্যান্সিং করে চলতো। গত দুই-তিন বছর থেকে এর পরিবর্তন হয়েছে। এখন রিফান্ডিং করার কোনো ব্যবস্থা নেই। সরকারি ব্যাংকগুলো এখন আয় করে ব্যয় করে যাচ্ছে।
[৩] বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
[৪] তিনি বলেন, প্রাইভেট সেক্টরের ব্যাংকগুলোর ব্যালেন্স শিট দেখলে খুব হেলদি ব্যালেন্সশিট দেখতে পাবেন। মোস্ট লার্জলি বেশির ভাগ ব্যাংকেরই ব্যালেন্সশিট ভালো। প্রোফিট না থাকলে তো ডিভিডেন্ট দিতে পারবে না। আমাদের ইন্টারেস্ট রেটটা সারা বিশ্বের সবার চাইতে বেশি।
[৫] মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের মতো ইনফ্লেশন রেট খুব কম দেশে পাওয়া যাবে। বিশ্বের কোথাও কোনো ব্যাংকে টাকা রাখলে ইন্টারেস্ট পাওয়া যায় না। বরং টাকা রাখলে ইন্টারেস্ট দিতে হয়। এজন্য দেশের লোকজন যারা বিদেশে আছেন, তারা অফিশিয়াল ব্যবসা করলে বিদেশে টাকা রেখে কিছু পান না। তাদের টাকাও এখন দেশে নিয়ে আসেন। দেশে টাকা এনে বিনিয়োগ করে তারা লাভবান হতে পারেন।
[৬] তিনি বলেন, পুঁজিবাজার চাঙ্গা হয়েছে কিনা সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন বিষয়টি দেখবে। পুঁজিবাজারের যে বেসিক বিষয় সেটি হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। পুঁজিবাজারে অসঙ্গতি থাকলে সেগুলো এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে তুলে ধরা হবে।
[৭] আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নতুন সচিব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার এক্সপেকটেশন সব সময়ই বেশি। তিনি আশা করেন সচিব এক্সপেকটেশন পূরণ করবেন। তার হাত ধরেই প্রত্যাশাগুলো বাস্তবায়িত হবে সেই প্রত্যাশা করেন। দীর্ঘদিন ধরে এনবিআরের লোকবল নিয়োগ আটকে আছে, বিষয়টি দেখবেন। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সঙ্গে কথা বলেবেন। এনবিআরের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে তাদের যদি কোনো দাবি থাকে, সেটাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করা হবে। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।
আপনার মতামত লিখুন :