শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট, ২০২১, ০৭:৩৬ বিকাল
আপডেট : ১৯ আগস্ট, ২০২১, ০৭:৩৬ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কমলগঞ্জে করোনাকালে আগ্রহ বাড়ছে মাল্টা চাষে

স্বপন দেব: [২] মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে রসালো ফল মাল্টা চাষে ঝুঁকেছেন ফল চাষীরা। তাই এলাকায় মাল্টা চাষের আগ্রহ বাড়ছে। অন্য ফসলের দাম কমে যাওয়ায় মাল্টা চাষে ঝুঁকছেন চাষীরা। এছাড়াও অনেকেই শখ করে বাড়ির আঙ্গিনা বা ছাদে মাল্টা চাষ করছেন।

[৩] চাষীদেরর সাথে কথা বলে জানা যায়, নতুন জাতের ফসলের প্রতি সকলের আগ্রহ থাকে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করায় এ ফলের প্রতি ক্রেতাদেরও আগ্রহ রয়েছে। তাই দামও ভালো পাওয়া যায়। এ কারণে নার্সারির মালিক ও কৃষকরা মাল্টা চাষে আগ্রহ বাড়িয়েছেন।

[৪] কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কমলগঞ্জ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে বারি-১, বারি-২, বারি-১১ জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে। এসবের মধ্যে বড় কোনো বাগান না থাকলেও ছোট ছোট বাগান রয়েছে। এছাড়াও বাসা বাড়ির আঙ্গিনায় অনেকেই মাল্টা চাষ করছেন।

[৫] পতনঊষারের মাল্টা চাষী আব্দুল মতিন বলেন, ‘কোনো ফলের দাম একবার পাওয়া গেলে পরের বছর সেটা আবাদ করা হয়। এতে একই ফল বাজারে থাকায় দাম কম পাওয়া যায়। তাই স্থানীয় চাষের ক্ষেত্রে নতুন ফল হিসেবে মাল্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। গত এক বছর আগে ৩০ শতক জমিতে নার্সারির পাশাপাশি বারি-১, বারি-২ জাতের মাল্টার চারা লাগিয়ে শুরু করেছি।’

[৬] তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে প্রায় ৭০টি মাল্টা গাছ রয়েছে। প্রথমে মাল্টা রোপনকালে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। পরবর্তীতে আর কোন খরচ নেই। এক বছরের মাথায় প্রায় ৬০ ভাগ গাছে মাল্টা ধরছে। এসব ফল চাষ করতে তেমন খরচ বা শ্রম দিতে হয় না।’

[৭] বিউটি নার্সারির মালিক বেলাল হুসাইন বলেন, এ বছর প্রায় ১ হাজার মাল্টা ও কমলা লেবুর চারা বিক্রি করেছি। গত দুই বছর ধরে মাল্টা চাষে অনেকেরই আগ্রহ বাড়ছে। মাল্টা চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ার কারণ হচ্ছে নতুন একটি ফসল। তুলনামূলকভাবে অন্যান্য ফসলের চাইতে ঝামেলা ও পরিশ্রম কম। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতির সম্ভবনা কম থাকে।

[৮] উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ রায় বলেন, ‘স্থানীয় কৃষকদের মাল্টা চাষে উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে। তিন বছর থেকে মাল্টা চাষ শুরু হয়েছে এ উপজেলায়। ৫ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ করা হচ্ছে ।’

[৯] তিনি আরও বলেন, ‘এ এলাকার জমি মাল্টা চাষের জন্য উপযোগী, আবহাওয়াও অনুকূলে রয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে অনেকেই বাসা বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। তাই এ সুযোগে বাসা-বাড়ির আঙ্গিনায় মাল্টা চাষ করছেন অনেকেই।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়