জায়েদুল আহসান পিন্টু: [২] বাংলাদেশ থেকে দলে দলে উগ্রবাদী আফগানিস্তানে যাবে অথবা সেখান থেকে বাংলাদেশি উগ্রবাদীরা দেশে ঢুকবে এমন ধারণা অমূলক। [৩] চাইলেও ভারত-পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তানে যাওয়া এখন আর অত সহজ নয়। [৪] গত এপ্রিলের শুরুতে মাত্র তিন উগ্রবাদীর আফগানিস্তান যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। [৫] তারা মেঘালয় ও মিজোরাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু কাশ্মীর থেকে পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তানে পৌঁছায়। [৬] তালেবানরা এখনো বহিরাগত জঙ্গিদের আমন্ত্রণ জানায়নি।
[৭] ৮০’র দশকে যে কয়েক হাজার উগ্রবাদী আফগানিস্তানে গিয়ে যুদ্ধ করেছে তারা এদেশের এবং পাকিস্তানের প্রশাসনের মদদ পেয়েছে। [৮] সেখানে অবস্থানরত অনেক বাংলাদেশি তাদের সহায়তা করেছে। [৯] ফিরে এসে তারা এদেশে জঙ্গি সংগঠন তৈরি করেছে। [১০] তখন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে। [১১] বর্তমানে সে ধরনের পরিস্থিতি বিদ্যমান নয়। [১২] এখন সমাজে উগ্রবাদ বেড়েছে। [১৩] বাংলাদেশে তালেবান সমর্থক উগ্রবাদী অংশটা উজ্জিবীত হতে পারে। [১৪] বাংলাদেশ এখন উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আছে। [১৫] সিটিটিসিসহ বেশকিছু ফোর্স এখন তাদের ক্যাপাসিটি ডেভেলপ করেছে।
[১৬] দেশের মানুষও এখন আগের চেয়ে বেশি সচেতন। [১৭] এখন শুধু নজরদারি বাড়াতে হবে। [১৮] এবং যারা নিয়মিত ওয়াজ করেন, আর মসজিদে খুতবা পড়েন, তারা যেন তালেবানদের উত্থানে অতি উৎসাহী হয়ে বক্তব্য দিতে না পারেন সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। [১৯] তালেবানরা সুন্নি। তারা শিয়া অধ্যুষিত ইরানের সাথে বৈঠক করেছে। তারা যাদের ‘নাস্তিক’ বলতো সেই চায়নার সাথে মিত্র গড়েছে। যাদের ইহুদি নাসারা বলতো সেই রাশিয়ার সমর্থন নিয়েছে। যাদের হিন্দু বলে কাফের বলতো সেই ভারতের সাথেও যোগাযোগের চেষ্টা করছে। তাদের আয়ের অন্যতম উৎস পশ্চিমা দেশে আফিম রপ্তানি করে কর আদায়। ক্ষমতার জন্য তারা ইসলামবিরোধী এসব কাজ করছে। ধর্মটা হলো হাতিয়ার। অবশ্য বাংলাদেশি তালেবানদের সেটা বোঝানো কঠিন। লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :