শিরোনাম
◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট, ২০২১, ০১:৪৬ রাত
আপডেট : ১৯ আগস্ট, ২০২১, ০১:৪৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গৌতম চক্রবর্তী: আগামী দিনে পাকিস্তানকে বাঁচাতে গোটা পৃথিবীর সঙ্গে ভারতকেও না আবার সেনা সাহায্য পাঠাতে হয়!

গৌতম চক্রবর্তী: আমেরিকা পালিয়ে গেলো। যাবার সময় বেজায় তাড়াহুড়ো, তাদের গুচ্ছের হাতিয়ার আধুনিক সাঁঝোয়া গাড়িসহ প্রচুর সরঞ্জাম ফেলে দে দৌঁড়। তালিবানেরা মনের আনন্দে সেসব দখল নিয়েছে। দখল নিয়েছে প্রাক্তন আফগান এয়ারফোর্সের শক্তিশালী বিমান হেলিকাপ্টার। সেসব হেলিকাপ্টারে উড়াউড়িও শুরু করেছে শুনলাম। ভারতও খান পাঁচেক সেকেন্ড হ্যান্ড রাশিয়ান হেলিকাপ্টার বেলারুশ থেকে কিনে ঠিকঠাক আপগ্রেড করে উপহার দিয়েছিলো আফগানিস্থানকে। সে সব জলে গেলো। আরও কী কী দিয়েছিলো কে জানে। হ্যাঁ, সালমা ড্যাম বানিয়ে দিয়েছিলো শুনেছি। যা আফগানিস্থানের বিস্তীর্ণ এলাকার পানীয় জল আর সেচের কাজে লাগে।

আশা করবো পাগলেও আপন বুঝ বুঝবে। আম আফগান নাগরিক সেই ড্যাম থেকে উপকৃত হবে, সেই কারণে তা নাও ভাঙতে পারে। সমস্যা হলো পৃথিবীর অন্যতম ভয়ঙ্কর জঙ্গিগোষ্ঠীর হাতে এখন আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র। এর ফলাফল ভবিষ্যৎ বলবে। তবে বাঁদরের হাতে এ কে ৪৭ পড়লে যা হবার তার থেকে অন্য কিছু হবার সম্ভাবনা কম। পাকিস্তানিরা বিপুল লাফাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেন একটা গোটা যুদ্ধ জিতে গেছে ভারতের বিরুদ্ধে। একটা গোটা দেশ এতো গাধা হয় কেমন করে কে জানে? তেহেরিক এ তালেবান পাকিস্তান হলো পাকিস্তানি তালেবান। তাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর নিত্যদিনের ভাব ভালোবাসা। রোজ বোমা, গুলি, তিন চারটে লাশ পাক বাহিনীর। ওদিকেও মরে, বেশিই মরে; তবে ভালোবাসা কমে না। সঙ্গে বালুচিস্থান লিবারেশন মুভমেন্ট তো আছেই। তারাও খুব একটা কম যায় না। পাশের দেশে তালেবান থাকলে তাদের জন্যও গোলাগুলি রসদের কমতি হবে না। এদিকে পুরনো আফগান সরকার আবার ডুরান্ড লাইন মানতো না। পাকিস্তান তাদের জমি দখল করে রেখেছে বলে নিত্য বাওয়াল দিতো। তালেবান কাল সেই রাস্তা নিলে পাকিস্তানের জন্য একেবারে সোনায় সোহাগা।

তালেবান আপাতত খুব ভালো ভালো কথা বলছে। ভারতকে বলেছে আফগান জমি ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। পাকিস্তানকেও বলেছে তারা তালেবান বটে, কিন্তু পাকিস্তানের তালেবান আলাদা। ওটা তাদের ব্রাঞ্চ না। এতো কথা বলে কাবুলে ঢুকেই জেলে আটক সব তালেবানকে ছেড়ে দিয়েছে। সে তো দেবেই, জানা কথা। তবে তেহেরিক এ তালেবান পাকিস্তানের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড কাবুল জেলে বন্দী ছিলো, তাকেও ছেড়ে দিয়েছে। সে তসবি হাতে গাড়িতে বসে ক্যামেরায় পোজও দিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়াতেই চোখে পড়লো। এদিকে পাক আফগান সীমান্ত থেকে আফগান বর্ডার গার্ড আগেই পালিয়েছে, সেখানে এখন তালেবানেরা রয়েছে। কাবুল দখল হতেই নাকি তালেবানেরা উল্টোদিকের পাক বর্ডার গার্ডদের হুমকি মিশ্রিত টিটকিরি দেওয়া শুরু করেছে, ‘এবার তোদের পালা’ বলে। কী সব বিচ্ছিরি ব্যাপারস্যাপার। পাকিস্তান আদপে একটা মিলিটারি শাসিত রাষ্ট্র। ওপরে গণতন্ত্রের জামা থাকলেও আদপে মিলিটারি আর কিছু পরিবার মিলে দেশটা চালায়। মিলিটারির যখন যাকে সুবিধা সেই পরিবার ক্ষমতায় থাকে। অসুবিধা হলে প্রয়োজনে ঘেটি ধরে গদি থেকে নামিয়ে দেয়। পাকিস্তানি মিলিটারি দেশের মানুষকে টুপি পরিয়ে রাখার জন্য ধর্ম নামক একটা মুলো ঝুলিয়ে রাখে। প্রায় প্রথম থেকেই এই ব্যবস্থা চলে আসছে। ধর্মকে কাজে লাগানো হয়, কিন্তু ধর্মের মাথাদের সঙ্গে ক্ষমতা শেয়ার করা হয় না। এতোদিনে ধর্মীয় নেতারা এই ফাঁকির কেসটা ধরে ফেলেছে। এখন তারা সরাসরি ক্ষমতার ভাগ চায়। পাক মিলিটারি আর যাই করুক, সেটা করবে না। নিজের স্বার্থেই করবে না। পাকিস্তানী রাজনৈতিক নেতা আর উপরের র‌্যাঙ্কের মিলিটারির হাতে বিপুল টাকার স্রোত। তাদের ছেলেমেয়ে বিদেশে পড়াশুনা করে। বিদেশি গাড়ি চড়ে। বিলাসবহুল জীবন কাটায়। এসবের ভাগ হয় নাকি? তবে নিচু তলার মিলিটারির কথা আলাদা। এরা সময় এলে কি করবে খোদায় মালুম।

আপাতত পাকিস্তান ব্যস্ত থাকবে আফগান বর্ডার নিয়ে। আমাদের দিকে তাকানোর ফুরসৎ পাবে না বিশেষ। তেতাপা সহ বাকি জঙ্গিগোষ্ঠীর ভাব ভালবাসা বাড়বে ওদিকে, বিশেষ করে তালেবানদের এই সাফল্যের পরে। হাজার হাজার মাদ্রাসাসহ পাকিস্তান এখন বোমের উপর বসে। যেখানে তেতাপার জন্য যোদ্ধার অভাব হবে না। সাপ্লাই লাইন আগেই তৈরি আছে, যা ভারতের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর কথা ভেবেছিলো পাক নেতারা। আসলে বাঘের পিঠে চড়া সহজ, কিন্তু দিনের শেষে সেই বাঘের পেটেই যেতে হয়। ভয় একটাই। পাকিস্তানের হাতের পরমাণু বোমা আছে, যা গোটা দুনিয়ার মাথাব্যাথার কারণ হতে চলেছে। ভবিষ্যতে পাকিস্তানের ক্ষমতা তেতাপার হাতে গেলে সঙ্গে বোমাটাও যাবে। কে জানে, এই অবস্থায় আগামী দিনে পাকিস্তানকে বাঁচাতে গোটা পৃথিবীর সঙ্গে ভারতকেও না সেনা সাহায্য পাঠাতে হয়। তাই পাকিস্তানি ও তাদের সহযোগী ভাই বেরাদারেরা, বেশি লাফায়েন না। খেলা অনেক বাকি। আজ যা নিয়ে লাফাচ্ছেন, কাল ওই একই কারণে চোখের জল ফেলবেন। গ্যারান্টি রইলো। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়