মারুফ মালেক: [২] প্রায় ২০টি কাগুজে ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানকে ১৩শ কোটি টাকা ঋণ প্রদানে সহায়তার অভিযোগে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের চার পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
[৩] বুধবার (১৮ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
[৪] একই অভিযোগে সোম ও মঙ্গলবার এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক এমডি ও ডিএমডিসহ মোট ১৭ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। গত ৮ আগস্ট এফএএস ফাইন্যান্সের শীর্ষ ২৬ কর্মকর্তা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চারজনসহ মোট ৩০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক।
[৫] অভিযোগ রয়েছে, ঋণ আবেদন গ্রহণ করেই যাচাই-বাছাই ছাড়াই কোনো মর্টগেজ গ্রহণ ব্যতিরেকে প্রায় ২০টি কাগুজে ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানকে ১৩শ কোটি টাকা ঋণ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন পরিচালনা পর্ষদসহ সংশ্লিষ্টরা। কাগুজে প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- এসএ এন্টারপ্রাইজ, মুন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, সুখাদা প্রোপার্টিজ লিমিটেড, ন্যাচার এন্টারপ্রাইজ, আরবি এন্টারপ্রাইজ, দিয়া শিপিং লিমিটেড, নিউটেক এন্টারপ্রাইজ, নিউট্রিক্যাল লিমিটেড, মেসার্স বর্ণ, কণিকা এন্টারপ্রাইজ, দ্রিনান অ্যাপারেলস, অ্যান্ড বি এন্টারপ্রাইজ, এমার এন্টারপ্রাইজ, জিঅ্যান্ডজি এন্টারপ্রাইজ, তামিম অ্যান্ড তালহা, হাল ইন্টারন্যাশনাল, মেরিন ট্রাস্ট লিমিটেড, আর্থস্কোপ এবং এমটিবি মেরিন।
[৬] এ বিষয়ে দুদক সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ঋণের নামে অর্থ লোপাটের ঘটনা ঘটেছে। যে কারণে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে অনুসন্ধান কর্মকর্তা। জিজ্ঞাসাবাদে আত্মসাতের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলছে। ঢাকা পোস্ট।
আপনার মতামত লিখুন :