সুজন কৈরী: [২] রাজধানীর শাহ আলী ও মুন্সিগগঞ্জের সিরাজদিখান এলাকায় মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ নারীপাচারকারী চক্রের ২ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-৪। আটকরা হলেন- তানিয়া আক্তার ওরফে কাজল (৩০) ও বিথি আক্তার (২৫)। তাদের কাছ থেকে পাসপোর্ট, ভিসা কার্ড এবং ২টি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়েছে।
[৩] র্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী বলেন, চক্রটি বিভিন্ন প্রতারণামূলক ফাঁদে ফেলে এবং প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে নারী ও তরুণীদেরকে পাচার করতো। তারা পার্শ্ববর্তী দেশে বিভিন্ন মার্কেট, সুপারশপ, বিউটি পার্লারসহ বিভিন্ন চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পাচার করত। তাদের মূল টার্গেট ছিল দরিদ্র ও নিম্নমধ্যবিত্ত তরুণী। দেশে ২০ থেকে ২৫ জন এই চক্রের সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।
[৪] তিনি বলেন, চক্রটি প্রথমে দেশের বিভিন্ন দরিদ্র ও অসহায় তরুণীদের টার্গেট করে পরিচিত হয়ে সু-সম্পর্ক গড়ে তুলে। পরে আটকরা তরুণীদের দেশের বাহিরে সহজে অর্থ উপার্জনের জন্য বিভিন্নভাবে তাদের প্রলোভন দেখায়।
[৫] বিভিন্ন স্থান থেকে তরুণীদের একত্র করে আটকরা ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় চক্রের সহযোগীদের কাছে হস্তান্তর করে। ভুক্তভোগী তরুণীদেরকে নগদ অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে ভয়ভীতি দেখিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত করানো হয় এবং সুবিধাজনক সময়ে স্থলপথে অরক্ষিত অঞ্চল দিয়ে পাচার করতো বলে জানা গেছে।
[৬] পরে তরুণীদেরকে পার্শ্ববর্তী দেশের পশ্চিমাঞ্চলসহ অন্যান্য এলাকার নিষিদ্ধ পল্লীতে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করতো। চক্রটি রাজধানী ঢাকার এবং মুন্সিগঞ্জের বেশকয়েকটি এলাকায় সক্রিয় রয়েছে।
[৭] জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি আটকরা একজন তরুণীকে রাজধানীর মিরপুর থেকে একটি ভাড়াকৃত প্রাইভেটকারের করে ঝিনাইদহের সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়ে যায়। পরে সুবিধাজনক সময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের পর ভিকটিমকে পার্শ্ববর্তী দেশে তাদের এজেন্টের কাছে হস্তান্তর করে। জনপ্রতি ১ লাখের বেশি টাকায় প্রত্যেক ভুক্তভোগীকে পার্শ্ববর্তী দেশের দালালের কাছে বিক্রি করতো।
[৮] আটকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। নারী পাচারকারী চক্রের সাথে জড়িত অন্য পলাতকদের গ্রেপ্তারে র্যাবের অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে র্যাব কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান চৌধুরী।
আপনার মতামত লিখুন :