সোহাগ হাসান: [২] জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার আমডাঙ্গা-সড়াতৈল আঞ্চলিক সড়কের এখন বেহালাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ দূর্ভোগ পোহাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
[৩] অভিযোগে প্রকাশ, দীর্ঘদিন ধরে ওই আঞ্চলিক সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় গর্তসহ খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য গুরূত্বপূর্ণ সড়কের গর্তে কাঁদা জমে থাকায় যানবাহন চলাচলসহ পায়ে হেটে চলাচলেও দূরুহ হয়ে পড়েছে।
[৪] এমনকি সামান্য বৃষ্টি হলে ৭/৮ দিনে জমে থাকে কাঁদা। এ কাঁদা শুকালে আবার বৃষ্টি হলেই সেই প‚র্বের অবস্থায় ফিরে আসে। ওই সড়কের আমডাঙ্গা থেকে সড়াতৈল পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার অল্প কিছু অংশ হাটিকুমরুল ইউনিয়নের মধ্যে এবং বাকি অংশ পড়েছে বড়হর ইউনিয়নের মধ্যে। এতে কোন ইউনিয়নের চেয়ারমান এ সড়ক মেরামতে উদ্যেগ নিচ্ছেননা। তবে এ সড়কের হাটিকুমরুল ইউপি অংশ বেহালাবস্থা।
[৫] এ কারণে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে চরম দুভোর্গ পোহাচ্ছেন । এ সড়কটি সংস্কার করার জন্য হাটিকুমরুল ও বড়হর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। মাঘে মধ্যে এ সড়কে ১/২ ট্রাক বালু ফেলা ছাড়া রাস্তার সংস্কারে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। অথচ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ৬ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে ।
[৬] সড়াতৈল হাই স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বুলু ও বর্তমান প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান তালুকদার জানান, বিশেষ করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা বই খাতা ব্যাগ নিয়ে এ সড়কে চলাচল করতে গিয়ে বেশি সমস্যার সৃষ্টি হয়। এদের চলাচল নিরাপদ করতে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে ওই ২ ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে এ সড়কটি পাকা করার আবেদন করা হয়েছে।
[৭] অবশ্য বড়হর ইউপি চেয়ারম্যান ও হাটিকুমরুল ইউপি চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সড়কটি পাকাকরণে স্থানীয় সরকার বিভাগ বরাবর ইতিমধ্যেই আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, এ সড়কটি পাকাকরনের প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :