শিরোনাম
◈ অবশেষে মার্কিন সিনেটে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ পাস ◈ কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ ◈ ইউক্রেনকে এবার ব্রিটেননের ৬১৭ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ◈ থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে ৩৩ জনের মৃত্যু ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ এফডিসিতে মারামারির ঘটনায় ডিপজল-মিশার দুঃখ প্রকাশ ◈ প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ◈ প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাত চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন নির্বাচিত ◈ বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০২১, ০১:৩৩ দুপুর
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০২১, ০১:৩৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বিদেশি মিশনগুলো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পাসপোর্ট সমস্যাকে অতিরঞ্জিত করেছে:

মারুফ মালেক: [২] পাসপোর্ট সমস্যা নিয়ে কিছু কিছু বৈদেশিক মিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মধ্যে এবং মিডিয়য় এ বিষয়ে অতিরঞ্জিত করে প্রকাশ করা হয়েছে। যা অতিরঞ্জিত বলে দাবি করেছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। এতে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছুই ছিল না বলেও জানানো হয়। সফটওয়্যার আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেমটি পুরোপুরিভাবে কখনো বন্ধ হয়নি। শুধুমাত্র গতি হ্রাস পেয়েছিল।

[৩] পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ব্যাখ্যায় বলা হয়, অতি পুরাতন এমআরপি সিস্টেমের এ ধরনের সাময়িক প্রতিবন্ধকতা আগে অনেকবার হয়েছে। সেটা সমাধানও করা হয়েছে। ই-পাসপোর্ট পূর্ণ চালু না করা পর্যন্ত মাঝে মাঝে এ ধরনের সাময়িক সমস্যা হওয়া অবান্তর নয়। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এ বিষয়টি মনিটর করছে। ভবিষ্যতেও করবে এবং এর সমাধানে সর্বাক্ষণিক তৎপর রয়েছে। ই-পাসপোর্ট চালুর লক্ষ্যে জুলাই ২০১৯ সালে ভেরিডোস জিএমবিএইচ, জার্মানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী দেশে অবস্থিত ৭২টি অফিস এবং বিদেশস্থ ৮০টি বাংলাদেশ মিশন থেকে ই-পাসপোর্ট ১৮ মাসের মধ্যে চালুর লক্ষ্যমাত্রা ছিল। দেশে অবস্থিত ৭২ অফিসে ই-পাসপোর্ট চালু করা সম্ভব হলেও বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিদেশস্থ ৮০টি বাংলাদেশ মিশনে কোনটিতেই অদ্যবধি ই-পাসপোর্ট চালু করা সম্ভব হয়নি। ফলে মিশনসমূহ থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট প্রদান করতে হচ্ছে।

[৪] মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) করা হয় এপ্রিল ২০১০ সালে। ফলে স্থাপিত যন্ত্রপাতি ও সিস্টেমসমূহ ১১ বছরের অধিক পুরানো যন্ত্রপাতিগুলোর ওয়ারেন্টি পিরিয়ড ব্যবহার উপযাগিতা অনেক পূর্বেই অতিক্রান্ত হয়েছে। অতি পুরাতন এই এমআরপি সিস্টেমটিকে সচল রাখতে অনেক প্রকার আপগ্রেডেশন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। সিস্টেমটি সচল রাখার জন্য সফটওয়্যার আপগ্রেডেশন, যন্ত্রাংশ আমদানিকরনসহ ও অনেকগুলি রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করতে হয়েছে। যেমন ওরাকল সফটওয়্যার মেইনটেনেন্স, এমআরপি, এমআরভি সফটওয়্যার মেইনটেনেন্স, এমআরপি বুকলেট প্রিন্টিংয়ের জন্য পার্সোনালাইজেশন মেশিন মেইনটেনেন্স, ডাটাবেজ মেইনটেনেন্স, ডিজাস্টার রিকভারী মেইনটেনেন্স, নেটওয়ার্ক মেইনটেনেন্স, সার্ভার মেইনটেনেন্স, পাসপোর্ট প্রিন্টিং মেশিন মেইনটেনেন্সয়ের স্পেয়ার পার্টস ক্রয়, পাসপোর্ট প্রিন্টিংয়ের জন্য আইপিআই ক্লিক ও কনজুম্যাবল আইটেম ক্রয় করা হয়েছে।

[৫] ফিঙ্গারপ্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশনের জন্য এফিস সফটওয়্যার আপগ্রেডেশন এবং পরবর্তী সময়ে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চুক্তি করা হয়েছে। তাছাড়া বিদেশে পাসপোর্ট প্রদানের জন্য অতিরিক্ত ৪০ লাখ এমআরপি বুকলেট স¤প্রতি আমদানি করা হয়েছে। এমআরপি সিস্টেমটি পুরাতন হয়ে যাওয়ায় সময়ে সময়ে যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যার আপগ্রেডেশন এর প্রয়োজন হয়।

[৬] গত জুলাই (২০২১) মাসের প্রথমদিকে এফিস সফটওয়্যার সিস্টেমে কোটা পূরণ হয়ে সিস্টেমটির গতি হ্রাস পেতে থাকায় এ বিষয়ে জানতে চেয়ে আইআরআইএস করপোরেশন বেরহাদ, মালোয়েশিয়াকে চিঠি দেওয়া হয়। তখন আইআরআইএস জানায় সিস্টেমটি পূর্ব হতে সতর্ক সংকেত না দেওয়ায় তারা বিষয়টি জানতে পারেনি। তাছাড়া কোভিড-১৯ মহামারিজনিত কারণে তাদের অফিস বন্ধ ছিল।

[৭] তৎক্ষনাৎ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর থেকে এফিস সফটওয়্যার সিস্টেমটি আপগ্রেডেশন করার জন্য আইআরআইএসের কাছ থেকে প্রস্তাব চাওয়া হয়। প্রস্তাব পাওয়ার পর সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুমতি গ্রহণ করা হয়। অনুমতি পাওয়ার পর ঐদিনেই আইআরএইএসের অনুক‚লে নোটিফিকেশন অফ অ্যাওয়ার্ড ও খসড়া চুক্তিপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু আইআরআইএস এই চুক্তির সঙ্গে পূর্ববর্তী কিছু বিষয় সংশ্লিষ্ট করে এবং বিষয়গুলো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত চুক্তি স্বাক্ষরে কিছুদিন বিলম্ব করে।

[৮] অধিদপ্তরের সার্বক্ষণিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ ও বার বার প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধির সাথে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে। গত ১১ আগস্ট ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং আইআরআইএস করপোরেশনের সঙ্গে ভার্চুয়ালি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত ১২ আগস্ট প্রায় ৫ হাজার ও ১৩ আগস্ট ৬ হাজারের অধিক আবেদনপত্র এফিস সফটওয়্যার সিস্টেমে প্রসেস করা হয়েছে। ১৬ আগস্ট এবং ১৭ আগস্ট ২১ হাজার ৬০টি আবেদনপত্রসহ আনুমানিক ১ লাখ ৫০ হাজার আবেদনপত্রের মধ্যে ৪ দিনে সর্বমোট ৩২ হাজার ৬০টি এমআরপি আবেদনপত্র এফিস সফটওয়্যার সিস্টেমে প্রসেস করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই সকল পেন্ডিং আবেদনপত্র নিষ্পত্তি ও এ বিষয়ে আরও অগ্রগতি হবে বলে আইআরআইএস জানিয়েছে। - বাংলা ট্রিবিউন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়