সুজন কৈরী: [২] পণ্যের নগদ টাকা পরিশোধের পরেও মাসের পর মাস পণ্য ডেলিভারি না পেয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন একজন গ্রাহক। সোমবার রাতে গুলশান থানায় মামলাটি করেন তাহেরুল ইসলাম নামের প্রতিষ্ঠানের ওই গ্রাহক।
[৩] মামলার আসামিরা হলেন-মাসুকুর রহমান, আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ, সোনিয়া মেহজাবিনসহ ই-অরেঞ্জের সকল মালিক। তবে মামলার এজাহারে প্রতিষ্ঠানটিতে কতজন মালিক রয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি।
[৪] মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়। যা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর ই-অরেঞ্জ কোম্পানির ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। এ শর্তেও বারবার নোটিশের নামে ভুক্তভোগীদের পণ্য ডেলিভারি না করে প্রতারণা করে যাচ্ছে। সর্বশেষ তারা গুলশান-১ এর ১৩৬/১৩৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনে অবস্থিত অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও তারা দেয়নি। এছাড়াও তারা যে বিভিন্ন আউটলেটের গিফট ভাউচার বিক্রি করেছিল, সেগুলোর টাকা আটকে রাখায় আউটলেটগুলো ভাউচারের বিপরীতে পণ্য দিচ্ছে না। আমরা এই করোনাকালীন সময় আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ পাচ্ছি না, বরং প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা পরিবর্তন নিয়ে নতুন নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। নতুন ও পুরাতন মালিকের কোনো তথ্য ভুক্তভোগী গ্রাহকদের সামনে প্রকাশ করা হচ্ছে না। মামলার আসামিরা সবধরনের অফিসিয়াল কার্যক্রম বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছে।
[৫] এছাড়া এখন পর্যন্ত তারা ভুক্তভোগী গ্রাহকদের কোনো পণ্য ডেলিভারি না করে এক লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে।
[৬] শুভ নামের একজন ই-অরেঞ্জের একজন গ্রাহক জানান, চলতি বছরের জুনে ই-অরেঞ্জের সামার ডাবল অফারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকার ভাউচার কেনেন তিনি। এই ১৬ লাখ টাকার ভাউচারে বেশকিছু মোটরসাইকেল কেনার ইচ্ছা ছিল তার। সেগুলো পাননি বরং অনেক আগের অর্ডার দেওয়া স্মার্টফোনও পাননি তিনি।
[৭] গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, একজন গ্রাহক বাদি হয়ে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলা করেছেন। ঘটনার তদন্ত চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :