গাজী নাসিরউদ্দিন আহমেদ: জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত সঠিক বলেই মনে করছেন। তিনি বলছেন, আমেরিকান সৈন্যরা এমন কোন যুদ্ধে অংশ নেবে না বা জীবন দেবে না যেখানে আফগান সশস্ত্রবাহিনী নিজেরাই যুদ্ধ করছে না। এখন আফগানিরা নিজেদের আত্মরক্ষার যুদ্ধ করেনি কেন? কেউ কেউ বলছেন, গত কয়েকমাস তাদের বেতন হয়নি। এই জায়গা থেকে নির্দ্বিধায় বলা যায়, তালেবানরা যুদ্ধ করে কাবুল জয় করেনি। যা হয়েছে তাকে ক্যুর বেশি বলা যাবে না। তালেবান ভোটেও আসেনি, দখলদার বাহিনীকে হটিয়েও আসেনি, গণ অভ্যুত্থান করেও ক্ষমতায় বসেনি। ক্যু যেহেতু বলছি সেহেতু ধরে নিতেই হবে, এতে এক্সটার্নাল শক্তির যোগসূত্র আছে। তালেবানের পুরনো মিত্র পাকিস্তান। পাকিস্তানের পুরনো মিত্র চীন। আফগানিস্তানে অতীতে আগ্রাসন চালানো রাশিয়াও পাকিস্তান-চীনের সঙ্গে গলা মিলিয়ে তালেবানদের স্বীকৃতি দিয়েছে। টার্কি, ইরানও দিয়েছে। তালেবানদের ধর্মগুরু সৌদি আরব কি করে দেখার বিষয়। যারা বলছে, তালেবানের শাসন মানে আফগানিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। এতদিন একটা মুখোশে সেখানে আমেরিকান রাজত্ব ছিল। এবার মুখোশবিহীন তালেবান। সঙ্গে এত এত বৈদেশিক স্বার্থের লেজ। আফগান পরিস্থিতির অবনতি ঘটল নিঃসন্দেহে।