শিরোনাম
◈ অবশেষে মার্কিন সিনেটে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ পাস ◈ কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ ◈ ইউক্রেনকে এবার ব্রিটেননের ৬১৭ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ◈ থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে ৩৩ জনের মৃত্যু ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ এফডিসিতে মারামারির ঘটনায় ডিপজল-মিশার দুঃখ প্রকাশ ◈ প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ◈ প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাত চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন নির্বাচিত ◈ বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ১৭ আগস্ট, ২০২১, ০২:২৫ রাত
আপডেট : ১৭ আগস্ট, ২০২১, ০২:২৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিপ্লব পোদ্দার: তালেবানের বিজয় কি নতুন ধারা উন্মোচন করবে?

বিপ্লব পোদ্দার: অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে থাকা যুক্তরাষ্ট্র একরকম বাধ্য হয়েই আফগান থেকে ফিরে এলো খালি হাতে। যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) গত ১২ই জুলাই এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০২১ সাল পর্যন্ত ২০ বছরে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ২ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। অন্যান্য হিসাবে এর পরিমাণ ২ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলার বা তারও বেশি। যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী যোদ্ধাদের স্বাস্থ্যসেবা, বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা দেয়াসহ সবমিলিয়ে ২০৫০ সাল নাগাদ এই ক্ষতির মোট পরিমাণ দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার।

এবার ফিরে দেখা যাক হতাহতের সংখ্যা। যদিও সেটা পুরোপুরি সঠিক ভাবে বলা যায়না, কম বেশি হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী আফগান যুদ্ধে ২৪৪৮ মার্কিন সেনা নিহত হয়, কন্ট্রাক্টর মারা যায় ৩৮৪৬ ,অন্যান্য সহযোগী থেকে মারা যায় ১১১৪, আফগান মিলিটারি এবং পুলিশ থেকে ৬৬০০০ , সিভিলিয়ান থেকে ৪৭২৪৫, তালেবান এবং অন্যান্য ৫১১৯১, এইড ওয়ার্কার ৪৪৪ এবং সাংবাদিক ৭২ জন।

এই যুদ্ধ কি শুধুই গণতন্ত্র নাকি পেশিতন্ত্রের মাধ্যমে অন্য দেশের সম্পদ লুন্ঠনের পরিকল্পনা ছিল , তা আজ বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। তবে এই যুদ্ধের পরিসমাপ্তি যে উদাহরণ সৃষ্টি করলো , তা আমাদের সবার জন্য শিক্ষণীয় হতে পারে।

এই ফলাফল শুধু আফগানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে আমি মনে করিনা। কারণ আমাদের এশিয়ায় রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে যাবে , সাথে পৃথিবীর রাজনীতিতেও পরিবর্তন হবে ।

বিশেষ করে চীন , পাকিস্তান এবং ইরান এর মধ্যে নতুন যে বোঝাপড়া, সাথে রাশিয়ার সমর্থন অনেকের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলবে। তা নিয়ে কোনো চিন্তার অবকাশ থাকতে পারে না।

ছোটবেলার পড়াটাই সত্যি হয়ে যায় । যেমন, পরের জন্য গর্ত খুঁড়লে নিজেকেই সেই গর্তে পড়তে হবে কোনো একদিন । তাই সৎ পথে থেকে ব্যাক্তি, দল, কূটনীতি কিংবা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সততার সাথে পরিছন্ন ভাবনা থাকা জরুরী। নাহলে সে যত বড়ই হোকনা কেনো, তার মূল্য অনেক উচ্চহারে পরিশোধ করতে হয়।

এবার নতুন এক চ্যালেঞ্জ আফগানিস্তানের জন্য অথবা তালেবানদের জন্য । যদিও আমি আশাবাদী , কারণ যেভাবে তালেবানরা নতুন যাত্রা শুরু করেছে , তা অনেকটা আশার আলো দেখাচেছ। আমি এক উপদেশ দিতে পারি। , অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠন করা । আমি নিশ্চিত, তালেবানরা যে ঘোষণা দিয়েছেন তা যদি পালন করতে পারে তবে তারাই নির্বাচিত হবেন। তখন আর কারো কোনো বিরোধিতা করার সুযোগ থাকবে না । সময় পাল্টেছে , তাই যুগোপযোগী পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে , তবেই সফলতা ধরা দেবে।

বাংলাদেশকে এখন খুব সাবধানে আগামীর পথ চলতে হবে। সে কূটনীতি কিংবা নিজ দেশের রাজনীতি । মাঝে মধ্যে কিছু সুযোগ সন্ধানীরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করে, তাদের আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করে সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। শিকদার পরিবার, সোবহান পরিবার সহ তথাকতিত শ্রেণীর জন্য এক আইন আর সাধারণ মানুষের জন্য আর এক আইন বেশি দিন চলতে পারেনা ।দেরি না করে , নাটকের অবতারণা না করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করা অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে। নাহলে যেকোনো বিপদ ঘটলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা। দেশটা সবার , তাই সবাইকে দেশকে ভালোবেসে দেশের জন্য কাজ করতে হবে , তখনই আমরা পৃথিবীর বুকে পাটা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো । আমাদের কোনো প্রভুর দরকার হবে না

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়