মিনহাজুল আবেদীন: [২] ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে জিপিএফসহ বিভিন্ন বিলের নামে প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পুলিশের ১৬ কর্মকর্তাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১৬ আগস্ট) যশোরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ডিবিসি টিভি
[৩] মামলার আসামিরা হলেন- সাতক্ষীরা দেবহাটা থানার এসআই হাসিনা খাতুন, এসআই মো. সবুর আলম খান, যশোর পুলিশ লাইন্সের এসআই মো. মাহাবুব আলম, মাগুরা পুলিশ লাইন্সের অবসরপ্রাপ্ত এসআই মো. সাইফুর ইসলাম ও টিএসআই খান মো. আব্দুল হাই, এএসআই মো. আতিয়ার রহমান ও শাহ আলম গাজী। সময় নিউজ
[৪] এছাড়া মাগুরা জেলা পুলিশ লাইন্সের হিসাব রক্ষক মো. শরিফুজ্জামান, মাগুরা জেলা হিসাবরক্ষণ ও ফিন্যান্স কর্মকর্তা জি এম জিল্লুর রহমান, ফিন্যান্স কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ও সরকার রফিকুল ইসলাম, একই অফিসের অডিটর মো. আজমল হোসেন, মো. আব্দুল লতিফ মিঞা, রথিন বিশ্বাস, মো. ফজলুর শহিদ ও শেখ আব্দুস সালাম, মাগুরা জেলা পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল গাজী মশিউর রহমান, মো. ফিরোজ হোসেন, শিপন মৃধা, মোছা. তাসলিমা খাতুন, হালিমা, অবসরপ্রাপ্ত কনস্টেবল কৃষ্ণপদ বিশ্বাস, মো. আকবর আলী ও আবুল কাশেম ছাড়াও নড়াইলের বাসিন্দা আজমল মুন্সি ও মাগুরার বাসিন্দা রোকাইয়া ইয়াসমিন বিচিত্রা এবং সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. ওয়াজেদ আলীকে আসামি করা হয়েছে। জাগোনিউজ
[৫] মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, মাগুরা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে কথিত জিপিএফ, ল্যাম্প গ্র্যান্ট, ডিপোজিট এগেইনেস্ট সাপ্লাইজ অ্যান্ড ওয়ার্ক নামে বিল মাগুরা জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে প্রেরণ করে ৯ জনের নামে ৮১টি অ্যাকাউন্ট পে চেক ইস্যু করার মাধ্যমে ৯ কোটি ৬৭ লাখ ৮৯ হাজার ৫৩৩ টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা। মাগুরা নিউজ
[৬] জানা যায়, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে একই পদ্ধতিতে অস্তিত্বহীন ৬টি বিলের মাধ্যমে জেলা পুলিশ মাগুরার ৬ জন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য তাদের জিপিএফ-এর প্রাপ্য অর্থের অতিরিক্ত ৭৬ লাখ ১১ হাজার ৮১৫ টাকা আত্মসাৎ করেন। এভাবে আসামীরা মোট ১০ কোটি ৪৪ লাখ এক হাজার ৩৪৮ টাকা আত্মসাৎ করেন।
[৭] আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :