রাশিদ রিয়াজ : আগামী বছর মার্চের মধ্যে বা চলতি ফার্সি বছর শেষে এধরনের পণ্য পরিবহন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেছেন দেশটির কাস্টম প্রশাসনের মুখপাত্র রোহোল্লাহ লাতিফি। এর বছরের শুরুতে প্রতিমাসে ৯ লাখ টন পণ্য ইরানের মাধ্যমে অন্যদেশে স্থানান্তত হতে শুরু করে। এধারা অব্যাহত থাকলে তা আগামী ফার্সি বছরের শুরুতেই ১১ মিলিয়ন টন ছাড়িয়ে যাবে। লাতিফি বলেন গত মাসের চেয়ে এধরনের পণ্য বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৮ শতাংশ। চলতি ফার্সি বছরের প্রথম চার মাসে এ পণ্য পরিবহন বিক্রি পেয়েছে গত বছরে একই সময়ের তুলনায় ৯৫ শতাংশ। এর পরিমান হচ্ছে ৩.৭৫৩ মিলিয়ন টন।
অবকাঠামো উন্নয়নের পর এধরনের পণ্য ট্রানজিটের মাধ্যমে অন্য দেশে স্থানান্তরে ইরান আরো সক্ষমতা অর্জন করবে। গত ফার্সি বছরে এধরনের পণ্য ইরান হয়ে স্থানান্তর হয় ৭.৫৩২ মিলিয়ন টন। ভূকৌশলগত অবস্থানের কারণেই ইরান বিভিন্ন আন্তর্জাতিকভাবে জরুরি বেশ কিছু করিডোরের সংযোগ রক্ষা করছে। পারস্য উপসাগর দিয়ে অধিকাংশ দেশে তেল রফতানি হচ্ছে। এছাড়া উত্তর ইরান কাস্পিয়ান সাগর যুক্ত করেছে রাশিয়া, কাজাকস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও আজারবাইজানকে। একই সঙ্গে ইরানের সঙ্গে ইরাক, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্ত পূর্ব ও পশ্চিমের দেশগুলোকে সংযোগ এনে দিয়েছে। অন্তত ১৫টি দেশের সঙ্গে ইরানের এধরনের যোগাযোগ ও ট্রানজিটের কারণে দেশটি এসব দেশের সেতুবন্ধন হয়ে কাজ করছে। কম সময় ও কম খরচে ইরান হয়ে এসব দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহন করার সুযোগ রয়েছে। অন্যদিকে ইরান এধরনের পণ্য পরিবহনে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। ইরান একই লক্ষ্যে শাহিদ রাজি পোর্ট, চবাহার পোর্ট, রেল পথ উন্নয়ন করছে।
আপনার মতামত লিখুন :