খুজিস্তা নূর- ই নাহারিন: নিম্ন আদালতে রিমান্ড থেকে বের হওয়া নায়িকাদের চিৎকার, উচ্চ স্বরে কথা বলা একটি বিষয় নিশ্চিত করে সেখানেও তারা মধুচন্দ্রিমার মতো আদর আপ্যায়নেই ছিলো, কেবলই প্রেমময় সংলাপ আর পর্যালোচনা। চতুর কন্যারা অতীব বুদ্ধিমতী বিধায় কাল বিলম্ব না করে সবাইকে ফাঁসিয়ে দিতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেনি। এরপর কেবল চা পান আর খুচরো আলাপ। ঢাকা শহরের সমস্ত রাজা-বাদশাদের গোপন নথি এখন তদন্তকারী কর্মকর্তাদের হাতে। আজ হোক কাল হোক দুদিন পরে হোক প্রকাশিত হবেই। তাদের অনেককেই চিনি যাদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, এসব কেবলই মামুলী ব্যাপার। কারণ আপার ক্লাসে একত্রে জড়াজড়ি করে ছবি তোলা,হাগ করা, নাচ সবার সম্মুখেই হয়, কেউ কিছু মনে করে না। এটা তাদের জীবনাচরণ কিংবা সংস্কৃতিরই অংশ বিশেষ। আগের দিনের রাজা-বাদশাদের হেরেমখানা থাকতো, বাইজী থাকতো এদেরও মধুকুঞ্জ বা বাগান বাড়ি আছে। এসব কাহিনী সবই প্রায় খুল্লাম খুল্লা। সেই বাগানে মর্ত্যের হুর পরীরা ঘুরে বেড়াবে নাচবে, গাইবে, সরাব ঢালবে ও সবার মনোরঞ্জন করবে। বেহেশতী এসব পুরুষ দেখে অনেকে আবার ঈর্ষান্বিত হবে, এই স্বর্গ সুখ পেতে মরিয়া হবে। কিন্তু বের হওয়ার পর যদি সংবাদ সম্মেলন করে একদা রেখার মতো তারা জনসম্মুখে সব সত্য বলে দেয় অনেকে বিপদে পরবে। অনেকেই হয়তো জানেন না স্বামী মুকেশের আত্মহত্যা করে মৃত্যুর পর একদা বলিউড সম্রাজ্ঞী রেখার দিকেই সবাই যখন আঙ্গুল তুলেছিলো, তিনিও কাউকে ছাড় না দিয়ে নায়ক থেকে পরিচালক ফিরোজ খান থেকে জিতেন্দ্র সবার চরিত্র জনসম্মুখে উন্মোচন করে প্রতিশোধ নিয়েছেন । ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :