শওগাত আলী সাগর: বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন কোভিডের ভ্যাকসিন সংগ্রহে হন্যে হয়ে ঘুরছে, কানাডীয়ান ফ্রিজারে তখন প্রায় ২২ মিলিযন ডোজ ভ্যাকসিন অলস পরে আছে। এর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভেই আছে ১০ মিলিয়ন ডোজ। বাকিটা বিভিন্ন প্রভিন্সে পাঠানো ভ্যাকসিনের অংশ। সংশ্লিষ্ট প্রভিন্স সেগুলো এখনো ব্যবহার করতে পারেনি।
এর আগেও অ্যাস্ট্রেজেনেকার অনেক ভ্যাকসিন মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ফেলে দিতে হয়েছে, অথচ কানাডা সেগুলো সহজেই অন্য কোনো দেশকে দিয়ে দিতে পারতো। ফ্রিজারে পরে থাকা বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিনও শেষ পর্যন্ত ফেলে দিতে হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
গত সপ্তাহেই কানাডা ত্রিনিদাদ এবং টোবাগোকে ৮২ হাজার ডোজ অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিন অনুদান হিসেবে দিচ্ছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে আমেরিকায় উৎপাদিত ১৮ মিলিয়ন অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিন উন্নয়নশীল দেশকে অনুদান হিসেবে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলো কানাডা। ওই ১৮ মিলিয়ন ডোজ কানাডা নগদ অর্থে কিনেছিলো। কিন্তু কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগ অ্যাস্টেজেনেকার ভ্যাকসিন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করায় সেই ভ্যাকসিনগুলো কানাডার কোনো কাজে লাগবে না। ফলে ফ্যাক্টরি থেকে সরাসরি অন্য দেশে সেগুলো পাঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কানাডা।
১২ বছরের উর্ধ্ব ৭৩ শতাংশ কানাডীয়ানকে ইতোমধ্যে দুই ডোজ করে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। বাকিদের জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন কানাডার হাতে মজুদ আছে। ফলে কানাডা খুব সহজেই বাড়তি ভ্যাকসিন অন্য দেশকে দিয়ে দিতে পারে। কানাডার উচিত, নিজেদের কাজে না লাগলে মূল্যবান এই ভ্যাকসিনগুলো অন্যদেশকে দিয়ে দেওয়া। বাংলাদেশ কূটনৈতিক পর্যায়ে যোগাযোগ করে দেখতে পারে, অলস পরে থাকা ২২ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন থেকে কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের প্ল্যান্ট থেকে অনুদানের জন্য রাখা ১৮ মিলিয়ন ডোজ থেকে কিছু অন্তত বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য নিতে পারে কিনা। লেখক : কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক
আপনার মতামত লিখুন :