কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশে কিছু হলেই হৈচৈ লেগে যায়। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থাগুলো উপদেশ দেয়। আমরা তাদেরকে পাত্তা দেই বলে তারা পেয়ে বসে। এটাই হলো বড়ো সমস্যা।
[৩] অথচ দুনিয়ার কম বেশি সব দেশেই গুম, খুনসহ নানান অপরাধ হয়। সেগুলো নিয়ে জাতিসংঘ কিছু বলেনা। এমনকি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত-পাকিস্তানে কিছু হলেও তারা চুপ থাকে। বিশেষ করে মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ ক্ষেত্রে একদম এগিয়ে।
[৪] যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালে ১ হাজার ৩৪ জন গুম হয়েছে। কই তারা তো এটা নিয়ে কিছুই বলে না। অবস্থান ও পরণতি কী হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে।
[৫] পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, সম্প্রতি জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ গুম হওয়া ৩৪ ব্যক্তির অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়ে যে, চিঠি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলো সেটি ১৪ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠনো হয়েছে। সেখান থেকে এখনও কোনো প্রতিবেদন আসেনি। এলেই জাতিসংঘে পাঠানো হবে।
[৪] মানবাধিকার কাউন্সিলের তালিকা অনুযায়ী গুমের শিকার ৩৪জন হলেন- মোহাম্মদ চৌধুরী আলম, সাজেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আব্দুল কাদের ভূঁইয়া, মো. কাউসার হোসেন, মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, আল আমীন, সোহেল রানা, মোহাম্মদ হোসেন চঞ্চল, পারভেজ হোসেন, মো. মাহফুজুর রহমান, জহিরুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিন, মীর আহমাদ বিন কাশেম, মাহবুব হাসান সুজন, কাজী ফরহাদ, সম্রাট মোল্লা, তপন দাশ ওরফে তপু, কে এম শামীম আক্তার, খালেদ হাসান সোহেল, আব্দুল্লাহ আজমি, এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন, মো. হাসিনুর রহমান, রাজু ইসলাম, ইসমাইল হোসেন, মো. তারা মিয়া, মোহাম্মদ নূর হোসেন, মোহন মিয়া, ইফতেখার আহমেদ দিনার, মো. ইলিয়াস আলী, আনসার আলী, কেইথিলপাম নবচন্দ্র, সেলিম রেজা পিন্টু ও জাহিদুল করিম।