সমীরণ রায়: [২] জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর মহিমা সমুন্নত রাখতে সংবিধানে বর্ণিত চার রাষ্ট্রীয় মূলনীতি গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদকে রাষ্ট্র, রাজনীতি, সমাজ ও অর্থনীতিসহ সব ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করতে হবে। দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ করেই বঙ্গবন্ধুর আত্মাকে শান্তি দিতে হবে।
[৩] তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ওপর মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তির প্রতিশোধমূলক সবচেয়ে ভয়ংকর আঘাত। শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যাই নয়, জাসদসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ধ্বংস করাই ছিল ১৫ আগস্টের খুনিদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। খুনি মোশতাকের ৮৩ দিনের শাসনে আওয়ামী লীগ, জাসদ, সিপিবিসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ওপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন-নির্যাতন তারই প্রমাণ দেয়।
[৪] শিরীন আখতার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বিপ্লবী জাতীয় সরকার গঠন করা, পাকহানাদার বাহিনীর উচ্ছেদের সঙ্গে সঙ্গেই পাকিস্তানের রেখে যাওয়া প্রশাসন-আইন-বিধি-ব্যবস্থা এবং পাকহানাদার বাহিনীর সহযোগী সামরিক-বেসামরিক অফিসার-কর্মচারীদের উচ্ছেদ করা হলে ষড়যন্ত্রের রাজনীতির বীজ তলাতেই ধ্বংস হয়ে যেতো। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মতো বিয়োগান্তক ঘটনা এড়ানো যেতো।
[৫] শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
[৬] জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন দলের সহ-সভাপতি মীর হোসাইন আখতার, নুরুল আখতার, ফজলুর রহমান বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহর আলী চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী প্রমুখ।