আজিজুল ইসলাম: [২] এ বছর আবহাওয়া চাষীদের অনুকূলে মাঝে মাঝে বৃষ্টি, রোদ ও ফলন অন্য বছরের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে। তাই এ বছর যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার এ অঞ্চলের মাঠে করোলা চাষে অধিক লাভবান চাষীরা।
[৩] সরেজমিনে উপজেলার সেকেন্দারপুর ও পুলেরহাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি মন করোলা বিক্রি হচ্ছে ৮’শ ১ হাজার টাকায়। এসব করোলা আবার যারা এখান থেকে কিনে রাজধানীসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে পাঠাচ্ছে তাদেরও লাভের অংশে কমতি নেই।
[৪] পুলেরহাট বাজারে করোলা বিক্রি করতে আসা করোলা চাষী শিপন মোল্যা বলেন,তার ২ বিঘা জমিতে প্রতি সপ্তাহে দু’দিন প্রায় ১০-১২ মন করোলা উঠছে ।
সেকেন্দারপুর বাজারে করোলা বিক্রি করতে বন্দবিলা ইউনিয়নের গাইদ্ঘাট গ্রাম থেকে আসা প্রশান্ত মন্ডল জানান, প্রতি সপ্তাহে দু’ দিনে তার ৭-৮ মন করোলা উঠছে এবং দামও মিলছে ভালো ।
পুলেরহাটের আড়ত ব্যবসায়ী ফারুক খাঁন জানান, এই বাজার হতে প্রায় প্রতিদিন ১০/১২ ট্র্যাক করোলা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়। এবার করোলার ফলন এবং দাম দুটোই ভালো। যেমন দাম দিয়ে ক্রয় করা হচ্ছে তেমনি চড়া দামেই করোলা পৌঁছাচ্ছে মোকামে। সেকেন্দারপুর বাজারের করোলা ক্রেতা আনিসুর রহমান বলেন, দৌলতপুর, কটুরাকান্দি, বন্দবিলা, মির্জাপুর, থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪-৫ ট্র্যাক করোলা এই বাজরে আসে এবং তা বিভিন্ন মোকামে পৌঁছে যায়।
[৫] এদিকে এক পথচারী জানান, পুলেরহাট ও সেকেন্দারপুর হাট দু’টিতে ক্রয়বিক্রয়ের জন্য রাস্তার দুই ধার ব্যবহৃত হওয়ায় যাত্রীদের রাস্তা চলাচল ব্যহত হচ্ছে। সকাল ৮ টা থেকে শুরু করে দুপুর ২টা পর্যন্ত যানজট লেগে থাকায় যাত্রীদের ঝামেলা পোহাতে হয়।
[৬] ভাড়ায় চালিত মোটর বাইক চালক ইমরান জানান, তারা ব্যস্ত থাকলেও তাদের চলাচলের রাস্তা ব্যবহার করেই চলছে সবজি হাট। পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এমন অবস্থা বিরাজ করছে। করোনা কালীন সময়ে উপেক্ষিত হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক থাকলেও মানা হচ্ছে না সেই রীতি।
[৭] বাজার কমিটির সভাপতি বলেন,বাজারে মাল ক্রয়-বিক্রয়ের সময় কিছুটা যানজট তৈরী হলেও কর্মী দিয়ে যান চলাচলের বযবস্থা করা হয়।
[৮] বাঘারপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুহোল আমিন জানান, এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় করোলার উৎপাদন ভালো হয়েছে এবং দাম ও ভালো থাকায় চাষীরা লাভবান হচ্ছেন। সম্পাদনা: হ্যাপি