কূটনৈতিক প্রতিবেদক:[২] মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
[৩] ঢাকায় নবনিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মান্টিটস্কি ও জার্মানির রাষ্ট্রদূত অচিম ট্রস্টার বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে তিনি দেশ দুটির সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় নবনিযুক্ত দুই রাষ্ট্রদূত দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
[৪] রাষ্ট্রপতির কার্যালয় এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়া ও জার্মানির সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। এ সম্পর্ক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে।
[৫] রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো পুনর্গঠনে রাশিয়ার সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
[৬] বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বাংলাদেশে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনসহ বিভিন্ন প্রকল্পে কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতার জন্য রাশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
[৭] জার্মানি বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যস্থল জার্মানি। তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্যসহ বিভিন্ন খাতে জার্মানির সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
[৮] নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনকালে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও বাড়বে বলে আশা করেন রাষ্ট্রপতি। এসময় রাষ্ট্রপতি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেক পার্ক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে জার্মান বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আপনার মতামত লিখুন :