মারুফ হাসান : [২] ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এ ঘোষণা দিতে পারে।
[৩] তবে যাদের শারীরিক জটিলতা ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল, তারাই এই ডোজ পাবে। যদিও গরিব দেশগুলোকে টিকা দেওয়ার জন্য ধনী দেশগুলোকে বুস্টার ডোজ না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। খবর এনবিসি নিউজ ও সিএনএনের।
[৪] মডার্না ও ফাইজারের টিকার ক্ষেত্রে তৃতীয় ডোজ দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে এফডিএর এক মুখপাত্র বলেন, দুর্বলদের তৃতীয় ডোজ দেওয়ার ব্যাপারে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ চলছে। এফডিএ ও সিডিসি (রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধকেন্দ্র) খুব শিগগির এসব তথ্য প্রকাশ করবে। সিডিসির তথ্যসূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৯০ লাখ মার্কিনির করোনা প্রতিরোধব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এটা তাদের বিভিন্ন জটিল রোগ ও ওষুধ নেওয়ার কারণে হয়েছে।
[৫] টিকার তৃতীয় অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রথম খবর প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক গণমাধ্যম এনবিসি। এ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকেরা বলেছেন, দিন দিন এটা পরিষ্কার হচ্ছে, টিকা নেওয়ার পরও অনেকে এখনো ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, করোনার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে তাঁদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠেনি।
[৬] এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের এক-তৃতীয়াংশ লোক এখনো প্রথম ডোজেরই টিকা নেয়নি। এ অবস্থায় আগামী মাসে বুস্টার ডোজ শুরু করা যায় কি না, তা বিবেচনা করছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। তবে তৃতীয় ডোজের জন্য অনুমোদন একমাত্র দিতে পারে এফডিএ। কিন্তু কিছু রাজ্যে এফডিএর অনুমোদন ছাড়াই তৃতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
[৭] এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের যেসব টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেগুলো এক কিংবা দুই ডোজের। ফলে, তৃতীয় ডোজের জন্য নতুন অনুমোদন লাগবে। আর এ অনুমোদন আসতে হবে এফডিএর কাছ থেকে। এ সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর সেটা যাবে সিডিসির কাছে। সিডিসি জানাবে টিকার এ তৃতীয় ডোজ আদৌ ব্যবহার করা হবে কি না। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, সূত্র বলেছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার সিডিসির টিকাবিষয়ক উপদেষ্টারা এ নিয়ে একটি বৈঠকে বসবেন।
আপনার মতামত লিখুন :