শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট, ২০২১, ১২:৫১ রাত
আপডেট : ১৩ আগস্ট, ২০২১, ০৪:০৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হত্যাচেষ্টার মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন রন ও দিপু সিকদার

নিউজ ডেস্ক: এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তাঁর ভাই দিপু হক সিকদার। মামলায় পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালত গ্রহণ করায় এই দুই আসামি মামলা থেকে অব্যাহতি পান।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. জাফর হোসেন।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টার মামলা তদন্ত করে সম্প্রতি রন হক সিকদার ও তাঁর ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন মামলার বাদী এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) সিরাজুল ইসলাম। আদালত বাদীর কাছে জানতে চান, পুলিশের দেওয়ার চূড়ান্ত প্রতিবেদন এবং উভয় পক্ষের আপসনামায় কোনো আপত্তি আছে কি না? এতে বাদীর কোনো আপত্তি না থাকায় আদালত পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন। এর ফলে মামলা থেকে অব্যাহতি পান রন সিকদার ও দীপু সিকদার।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, গত বছরের ৭ মে রন হক সিকদার ও দিপু সিকদার এক্সিম ব্যাংকের এমডি মুহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসনেকে একটি অ্যাপার্টমেন্টে বন্দী করে রাখেন। তাঁদের গুলি করে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। মামলায় আরও বলা হয়, পুরো ঘটনাটি ৫০০ কোটি টাকা ঋণ প্রস্তাব নিয়ে। এই ঋণের বিপরীতে বন্ধকি সম্পত্তি পরিদর্শনের নামে এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে ডেকে আনা হয়েছিল। এ সময় জামানত হিসেবে ওই সম্পত্তির বন্ধকি মূল্য কম উল্লেখ করেন ব্যাংকটির এমডি ও অতিরিক্ত এমডি। এরপরই গুলি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। রন হক সিকদার ও দিপু হক সিকদার ব্যাংকটির এমডির কাছে একটি সাদা কাগজে জোর করে সই নেন।

তবে গত ২৬ জুলাই আদালতে জমা দেওয়া পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন বলছে, মামলার বাদী ও বিবাদীর ভুল-বোঝাবুঝির কারণে এই মামলার উদ্ভব হয়েছে। পরে বাদী-বিবাদী নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে একটি সমঝোতা চুক্তি করেন। নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে আসামিদের অভিযুক্ত করার মতো যথেষ্ট প্রমাণাদিও পাওয়া যায়নি। মামলাটি ‘তথ্যগত ভুল মর্মে প্রতীয়মান হয়’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। সমঝোতায় বাদী-বিবাদী বলেছেন, তদন্তের ফলাফল তাঁরা মেনে নেবেন এবং পরবর্তীকালে তাঁরা এ বিষয়ে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেবেন না।

বাদী এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম ১০ আগস্ট প্রথম আলোর কাছে দাবি করেছিলেন, আসামি সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তাঁর ভাই দিপু হক সিকদার নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় সমঝোতা হয়েছে।

বাদীর এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রণ হক সিকদার বলেন, ‘আমাদের ভুল বোঝাবুঝি থেকে এই মামলা হয়েছে। আমরা ক্ষমা চেয়েছি বিষয়টা সত্য নয়। আমাদের আপসনামায় সব উল্লেখ আছে। পুলিশ রিপোর্টে যা বলা সে বিষয়ে আপত্তি নেই বলে আদালতে উপস্থিত হয়ে বাদী বলেছেন, এরপর আমার আর কিছু বলার নাই।’ - প্রথম আলো

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়