সুজিৎ নন্দী: [২] ঢাকাসহ দেশে গণপরিবহন অর্ধেক চলাচলের সরকারি নির্দেশনা দেয়া হলেও বাস্তবে মানা হচ্ছে না। চালকরা থুতনির নিচে মাস্ক, হেলপারদের একই অবস্থা এবং যাত্রীদের অনেকাংশ মাস্ক পরছে না। নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহারও। সিটের চেয়ে দাঁড়িয়ে লোক নেয়া হচ্ছে। তবে ভাড়া নৈরাজ্য থামেনি। রয়েছে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ।
[৩] কোথাও কোথাও ট্রাফিক সার্জেন্টদের গাড়ির কাগজপত্র দেখার অভিযান চলছে। ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে পরিবহন চালক ও হেলপারদের বাকবিতণ্ডা হতেও দেখা গেছে। হেলপারদের সঙ্গে যাত্রীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। সরেজমিনে বনানী, ট্যাকনিক্যাল মোড়, মিরপুর-১, গাবতলী, কল্যাণপুর, ফার্মগেট, প্রেসক্লাব, শাহবাগ, গুলিস্তানে এ রকম চিত্র দেখা গেছে।
[৪] বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ভাড়া মনিটরিংসহ পরিবহনের অন্যান্য অনিয়ম দেখতে নগরজুড়ে আমাদের বেশ কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। কেউ আইন ভঙ্গ বা সরকারের নির্দেশনা অমান্য করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি আসনেই যাত্রী বসিয়ে বাস চালানো হচ্ছে।
[৫] পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, আমরা সব মালিককে চিঠি দিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছি। এই নির্দেশনায় কোনও বাসে দাঁড়িয়ে বা বর্ধিত ভাড়া আদায় করা যাবে না। যদি কেউ এমন করে থাকে বা কোনও যাত্রীর কাছ থেকে অভিযোগ আসে সঙ্গে সঙ্গে সেই পরিবহনের বিরুদ্ধ আইনগত ব্যবস্থার পাশাপাশি সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
[৬] তবে কোনও পরিবহনে জীবাণুনাশক ছিটাতে দেখা যায়নি। তবে পরিবহনগুলো বের হওয়ার আগেই জীবাণুমুক্ত করে রাখা হয়েছে বলে জানান পরিবহন শ্রমিকরা। তবে কিছু কিছু স্থানে হেলপাররা আগের মতো জোর করে টেনে টেনে যাত্রী তুলছেন।
[৭] একাধিক চালক জানান, আমরা আগের ভাড়াই আদায় করছি। কিন্তু কিছু কিছু যাত্রী সেই ভাড়াও দিতে চায় না। যে কারণে কারও কারও সঙ্গে ঝামেলা হয়। এছাড়া সিটের বাইরে কোনও যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে না। মোড়ে মোড়ে বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত আছে। তারা জরিমানা করে দিচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :