জেরিন আহমেদ: [২] দেশে রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপাদনের পরেও কমছে না চালের দাম। চাল আমদানিসহ সরকারের নানা উদ্যোগও যেন কোনো কাজে আসছে না। বরং ক্রমেই আরও বাড়তির দিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম। করোনাকালে এমনিতেই মানুষের আয় কমেছে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ আর্থিক সংকটে পড়েছেন।
[৩] খুচরা বাজারে, মিনিকেট চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৬ টাকায়। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। ভরা মৌসুমে এই চালের দাম হওয়ার কথা ৫০-৫২ টাকা। বাজারে নাজির শাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। অন্যদিকে পাইজাম মাঝারি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৮ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ৪৬-৫৬ টাকা আর গত বছর একই সময়ে বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৮ টাকায়। এছাড়া মোটা চাল ৪৫-৫০ টাকা। যা গত বছর একই সময়ে ছিলো ৩৮ থেকে ৪৮ টাকা। বিডি নিউজ
[৪] সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চাল কেজিতে বেড়েছে দুই টাকা। এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশ এবং গত বছরের তুলনায় মোটা চালে বেড়েছে ১৪.১২ শতাংশ। এছাড়া মাঝারি মানের চালের দাম গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ বেশি। আর চিকন চালের দাম বেড়েছে প্রায় ১৪.২৯ শতাংশ। মানবজমিন অনলাইন
[৫] কারওরানবাজারের চাল আড়তের ব্যবসায়ী আব্দুল আওয়াল বলেন, চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। তাই দাম বাড়তির দিকে। এ অবস্থায় ভারত থেকে চাল আমদানির অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। ভারত থেকে চাল আমদানি করা হলে দাম কিছুটা কমবে। সিন্ডিকেটকারীদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা না নিলে আর কোনো উপায়ও দেখছেন না চালের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে মেইলারদের সিন্ডিকেটের কারণে ঈদের আগে দাম বৃদ্ধি পাওয়া এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় নাই।
[৬] উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ এপ্রিল থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বোরো ধান সংগ্রহ হয়েছিল দুই লাখ ১৯ হাজার টন। এ ছাড়াও ছয় লাখ ৬৭ হাজার ৮৯০ টন সিদ্ধ চাল এবং ৯৯ হাজার ১২৩ টন আতপ চাল সংগ্রহ করা হয়েছিল। বাংলাট্রিবিউন
[৭] চালের দাম নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে দেশে চালের দাম অনেক কমে গিয়েছিল। ফলে কৃষকেরা লোকসানের মধ্যে পড়ে যান। দাম কিছুটা বাড়ায় কৃষকেরা সুফল পাচ্ছেন।’ শপয অভিযোগ আছে, কৃষকেরা এই বাড়তি দামের সামান্যই পান। সুফল ভোগ করেন মূলত ব্যবসায়ী ও মিলমালিকেরা।
[৮] খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র আরও বলেন, চালের বাজার স্থিতিশীল করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি বেসরকারিভাবে চাল আমদানির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। শিগগিরই এর সুফল দৃশ্যমান হবে। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বিকাল ৩টায় শান্তাহার সেন্ট্রাল স্টোরেজ ডিপো (সিএসডি) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সারা বাংলা/প্রথম আলো/ সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :