মাছুম বিল্লাহ: [২] সম্প্রতি খুলনার রুপসা উপজেলার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত শিয়ালী গ্রামে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ভারতের প্রতিবাদ না জানানোর বিষয়ে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক যুগশঙ্খ।
[৩] বুধবার যুগশঙ্খের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সংখ্যালঘুদের ওপর একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় ভারতের প্রতিবাদ জানানো উচিৎ। কিন্তু বন্ধু রাষ্ট্র বলে নয়াদিল্লি চুপ করে করে আছে।’
[৪] পত্রিকাটি লিখেছে, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিরা বেছে বেছে হিন্দুদের ওপর অকথ্য নৃশংসতা চালায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তানিরা চলে গেলেও হিন্দু নির্যাতন আজও থামেনি। অভিযুক্তদের উপযুক্ত সাজা হয় না বলেই সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা আকছার ঘটছে।
[৫] যুগশঙ্খ লিখেছে, বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের মতে, হিন্দুদের সংখ্যা বাংলাদেশে এখন এতো কমে গিয়েছে যে আওয়ামী লীগ সরকার তাদের আর ভোটব্যাংক বলে মনে করে না। তাই হিন্দুরা নির্যাতিত হলেও কড়াব্যবস্থা নেওয়া হয় না। আসলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চত করতে হলে প্রশাসনকে যেমন দোষীদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, তেমন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে মানুষের মনে। দুঃখের বিষয়, সেটারই অভাব।
[৬] পত্রিকাটির সম্পাদকীয়তে আরও লেখা হয়েছে, খুলনার রুপসা উপজেলার শিয়ালী গ্রামের ঘটনাতেও পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওই গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও কয়েকশো দুষ্কৃতী অবাধে দশটি মন্দিরে ভাঙচুর, হিন্দুদের অনেকগুলি ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছে। অথচ হামলার রুখতে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি। ওই এলাকারও সংখ্যালঘুরা অন্যত পালিয়ে বেঁচেছে। ফিরলেও আবার হামলার আশঙ্কা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :