মনিরুজ্জামান: নাসির উদ্দিন, ছিলেন বই ব্যবসায়ী (লাইব্রেরিয়ান)। বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনার তাণ্ডবে জীবন-জীবিকার তাগিদে হলেন মুদি ব্যবসায়ী।
উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের তার বসবাস। জীবনকে সুন্দর করার স্বপ্ন নিয়ে ১৯৯৬ সালে বোরহান উদ্দিন হাই স্কুল ব্রিজের কাছে "ইসলামিয়া" লাইব্রেরী শুরু করেন। সময়ের পরিক্রমায় জমে উঠে ব্যবসা। সুখ-স্বাচ্ছন্দ নামক অতিথির আগমন ঘটে তাদের সংসারে। অভাব কী বিধাতা তা তাদেরকে বুঝতে দেয়নি তাকে। হঠাৎ করোনায় নামক ঝড় লন্ডভন্ড করে দেয় তার লালিত স্বপ্নকে। সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় তারা এর রথ। অপেক্ষা করতে থাকেন হারানো স্বপ্নকে ফিরে পেতে। বসে খেতে খেতে পুঁজি শেষ। প্রকৃতির রুদ্রাচার তার সুসময় কে ফিরে আসতে দেয়নি। উপায়ান্তর না পেয়ে পেশা পরিবর্তন করেন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একই দোকানে মুদি ব্যবসা চালু করেন। কোনো রকম দিন কাটতে লাগলো। নানা রকম দুঃস্বপ্ন তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। মে মাসে হঠাৎ স্ট্রোক করেন। শুরু হয় দুর্বিষহ জীবন। সুস্থ হয়ে পুনরায় দোকানে শুরু করেন। কর্নার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সর্বত্র লকডাউন ঢাকায় বন্ধ হয়ে যায় তার বিকল্প চলার পথটি।
ছবিতে: নাসির
কেমন বিক্রয় হচ্ছে জানতে চাইলে, নাসির জানান, তা বলার মতো না। এখন শুধু মূলধন খাচ্ছি। আক্ষেপ করে বলেন, এভাবে কী আর জীবন চলে?
শিহাব (১১)। গংগাপুর ইউনিয়নের বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। এক ভাই তিন বোনের সংসার। করোনায় বাবার আয় দিন দিন কমছে।
ছবিতে: সিহাব
অন্যদিকে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ। তাই বাবাকে অর্থনৈতিক সহায়তার জন্য বোরাক (থ্রি হুইলার) চালাচ্ছে। সিহাব জানান, দৈনিক ৫০০-৬০০ টাকা আয় হয়। তা বাবাকে দেই। বাবার কষ্ট একটু কমছে।
পলাশ চন্দ্র দাস
পলাশ চন্দ্র দাস। সরকারি আব্দুল জব্বার কলেজের ডিগ্রী চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র। করোনায় থমকে দিয়েছে তার শিক্ষাজীবন। এতদিন পাস করে হয়তো চাকরি বাজারে যেতেন। করোনার তাণ্ডবে বাধ্য হয়ে হাল ধরতে হয়েছে সংসারের। বাবার সাথে এখন এসে পৌরবাজারে জুতা সেলাই এর কাজ করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :