গোলাম সারোয়ার: [২] পৃথক পৃথক অভিযানে জেলার আশুগঞ্জ থেকে ১৭ কেজি গাঁজা‘সহ ০৫ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প।

[৩] মঙ্গলবার (১০ আগস্ট ) দুপুরে র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

[৪] র‌্যাব জানায়,১০ আগস্ট সকাল ০৭.১৫ টায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প,কিশোরগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন গোলচত্ত্বর সংলগ্ন যাত্রী ছাউনীর সামনে পাকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ মানিক মিয়া (২৮), পিতা-মৃত এখলাছ মিয়া, গ্রাম-পানুর, চন্দন কুমার শাহা (৩৪), পিতা- কাচু চন্দ্র সাহা, গ্রাম-বিরামপুর(দাসপাড়া), উভয়থানা- মোহনগঞ্জ, জেলা-নেত্রকোনা, আলী আকবর(২৪), পিতা- মোঃ নজরুল ইসলাম, গ্রাম-গনেরগাঁও চন্তিপাড়া, থানা-কটিয়াদি, জেলা-কিশোরগঞ্জ, মোঃ আমিন (৩২), পিতা-মোঃ হুমায়ুন মিয়া, গ্রাম-আন্দিদিল, থানা-আশুগঞ্জ, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়াদের আটক করেন। এসময় ধৃত আসামীদের হেফাজতে থাকা স্কুল ব্যাগ ও কাঁঠালের মধ্যে অভিনব কায়দায় রাখার ১৩.৫ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। একই তারিখ একই স্থান হতে সকাল আনুমানিক ০৮.১৫ ঘটিকায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প, কিশোরগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোলপ্লাজার অনুমান ২০০ গজ পূর্ব দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ঢাকা গামী লেনের উপর অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ আমির হোসেন (৩০), পিতা-মোঃ আব্দুর রউফ মিয়া, গ্রাম-কুইয়া পানিয়া, থানা-কসবা, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে আটক করেন। এসময় ধৃত আসামীর হেফাজতে থাকা মোটরসাইকেল এর সিটের নিচে অভিনব কায়দায় রক্ষিত ৩.৫ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা, ০১ টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।

[৫] ধৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে চোরা চালানের মাধ্যমে গাঁজা দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছে বিক্রয় করে বলে ধৃত আসামীরা স্বীকার করে।

[৬] উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।