গোলাম সারোয়ার: [২] জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার হাট বাজারে হঠাৎ কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে। এতে ভোগান্তি বেড়েছে ক্রেতাদের। তবে কাঁচা মরিচের দাম বেশি হওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। জোগান কমে যাওয়ায় মরিচের দাম বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি দাম ৬০-৭০ টাকা হলেও তা বেড়ে ১৭০-১৯০ হয়েছে বলে তারা জানান।
[৩] লালপুর এলাকার মরিচ চাষি কামাল বলেন এবছর প্রতিদিন বৃষ্টি হওয়ায় গাছের পচন ধরাসহ ভাইরাসে কিছু গাছ নষ্ট হয়েছে। ফলে আশানুরূপ ফলন পাচ্ছিনা। এখন দাম বেশি হলেও লাভের সংখ্যা কম।অল্প কিছু গাছ পরিচর্যা করে যাচ্ছি। ভালো দামও পাওয়া যাচ্ছে।
[৪] তাল শহর বাজারের এনামুল হক নামে আরেক কৃষক বলেন শুরুতে কেজি প্রতি ৪০-৫০ টাকা দরে পাইকারি বাজারে মরিচ বিক্রি করতে পারতাম। কীটনাশকসহ শ্রমিকদের খরচের টাকাটা ওঠাতে খুব কষ্ট হতো। এখন পাইকারি বাজারে ১৩০- ১৫০ টাকায় বিক্রি করতে পারছি।
[৫] এদিকে গতকাল সোমবার দুপুরে আশুগঞ্জ বাজারের লিটন মিয়া নামে এক ক্রেতার সঙ্গে কথা হয়।তিনি জানান, হঠাৎ কয়েকদিন ধরে মরিচের দাম আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। কাঁচা মরিচ ছাড়া খাবার সুস্বাদু হয় না। লিটন মিয়া বলেন দুদিন পরপর হাফ কেজি করে কিনতাম। কিন্তু কিন্তু এখন ২০০ গ্রাম কিনেছি।
[৬] আশুগঞ্জ বাজারে আরেক খুচরা বিক্রেতা বলেন বাজারে মরিচের চাহিদার তুলনায় আমদানি খুবই কম। দূরের যানবাহনের যাতায়াত বন্ধ থাকায় কাঁচামাল গুলো রান্না আসতে পারে না। উপায়ন্তর না দেখে স্থানীয় এলাকা থেকে বেশি দামে কিনে আনতে হয়। ফলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
[৭] উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসলাম বলেন এই মৌসুমে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। অতিবৃষ্টির কারণে গাছের গোড়ায় পানি জমে পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য নালা তৈরি করে উঁচু জমিতে চাষাবাদের পরামর্শ দিচ্ছি। মরিচ গাছে মাকড়সা আক্রমণ করে। এজন্য কীটনাশক প্রয়োগে সুফল পাবে। কৃষকদের লাভবান করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :