রাশিদুল ইসলাম : [২] যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের ফেডারেল আদালতে এ মামলা করেন ভার্জিনিয়া জিউফ্রের আইনজীবী ডেভিড বোইস। জিউফ্রের অভিযোগ জেফ্রি এপস্টাইন তাকে নাবালক অবস্থায় তার বন্ধুদের কাছে যৌনতার জন্য পাচার করেছিল। তার অপব্যবহারকারীদের মধ্যে ছিলেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের দ্বিতীয় পুত্র প্রিন্স অ্যান্ড্রু। ডেইলি মেইল/সিএনএন
[৩] ৩৮ বছর বয়স্ক ও ৩ সন্তানের জননী জিউফ্রে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় বাস করছেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেছেন ২০০১ সালে ১৭ বছর বয়সে তাকে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর কাছে জোরপূর্বক যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করা হয। তিনি তার শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি পূরণের দাবি করেছেন।
[৪] এবিসি নিউজকে তার আইনজীবী ডেভিড বোইস বলেন, প্রিন্স অ্যান্ড্রু ক্ষতি পূরণ দিলে তা তাকে তার কৃতকর্মের জন্য কোনো জবাবদিহিতা থেকে বাঁচতে দেবে। তার মক্কেল ভার্জিনিয়া এমন পরিস্থিতি এড়ানোর চেষ্টা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেখানে ধনী এবং ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা তাদের কাজের জন্য কোন জবাবদিহিতা থেকে পালিয়ে যায়।
[৫] মামলা অনুসারে, প্রিন্স অ্যান্ড্রু একটি ভীত, দুর্বল শিশুকে (জিউফ্রে) অপব্যবহার করতে চেয়েছিলেন যেখানে তাকে রক্ষা করার জন্য কেউ ছিল না। তার হিসাব নিকাশ করার সময় অনেক আগেই চলে গেছে। জিউফ্রে বলেন, ক্ষমতাবান এবং ধনীরা তাদের কৃতকর্মের জন্য দায়ী হওয়া থেকে মুক্ত নয়। আমি আশা করি অন্যান্য ভুক্তভোগীরা দেখবে যে নীরবতা এবং ভয়ে না থাকা সম্ভব, যে কেউ কথা বলে এবং ন্যায়বিচার দাবি করে তার জীবন পুনরুদ্ধার করতে পারে।
[৬] তবে প্রিন্স অ্যান্ড্রু ভার্জিনিয়ার সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার ও এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেছেন। ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ ওঠার পর ব্রিটিশ রাজপরিবারের দাপ্তরিক কাজকর্ম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :