এম আর ফারজানা: আমার কৌতুহলি মনকে আমি নিজেই প্রশ্ন করলাম আচ্ছা, পরীমনি এতো বেপরোয়া হলো কেন? কেন তাকে এতো টাকার মালিক হতে হবে, কেন তাকে ছুটতে হবে। মানুষের একটা স্বপ্ন থাকে সেই স্বপ্নের কাছে গেলে মানুষ থেমে যায় বা ক্লান্ত হয়। কিন্তু পরীর বেলায় তা উল্টা। কিন্তু কেন? পরীমনির অতীতের খোঁজ নিলাম একটু, যা সত্যি মর্মান্তিক। পরী দেখতে একদম মায়ের মতো হয়েছে। যাই হোক পরীমনির মা আগুনে পুড়ে মারা যায়। কীভাবে আগুন লেগেছিল, বা কেউ লাগিয়ে দিয়েছে কিনা তা আজও অজানা, রহস্যঘেরা।
মায়ের এমন মর্মান্তিক ঘটনার পর ছোট পরী বাবার কাছে থাকে। এরপর বাবাও খুন হন। তাকেও খুন করা হয়। ছোট একটা বাচ্চা মেয়ে এরপর কীভাবে পথ চলেছে, কতোটা শেয়াল-শকুনের থাবা পরেছেÑ আমরা জানি না। শুধু জানি পরী নানার কাছে বড় হয়েছে। অনেকে হয়তো বলবেন আমি এগুলো কেন বলছি। বলছি, আমার কেন জানি মনে হচ্ছে পরীর মনে একধরনের প্রতিশোধের স্পিহা কাজ করছে। কারণ মেয়েটি কিন্তু ছবি করতেছে, ছবি হাতে আছে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করলে সে খুব ভালো অবস্থানে যেতেই পারতো। সেই পথ তার তৈরি হয়েছিল। দেখতে সুন্দর বেশ পরিণত বয়সও। কিন্তু সেদিকে না গিয়ে বোহেমিয়ান জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিল। টাকার লোভ থাকলে সেটা এতোদিনে মিটে যাবার কথা অনেক আগেই। তার থেমে যাওয়ার কথা কিন্তু কিছুই তোয়াক্কা করেনি।
যদি আপনারা বলেন সে এমন বিপদে পরবে জানলে এমন করতো না, আমি বলবো ভুল বলছেন, এমন পথে বরং বিপদ আরো বেশি যার ফলাফল এখন রিমান্ডে যাওয়া। আমার এই লেখার অর্থ এই নয় যে পরীমনি খুব ভালো, সব দোষ সমাজের বা অন্যের। আমি শুধু বলতে চাইছিÑ মেয়েটি যে পথে বড় হয়েছে সেই পথটা হয়তো কাটা বিছানো রক্তাক্ত পথ ছিলো। অবশ্য আমার ধারণা ভুল ও হতে পারে। শুধু পরীমনি না আমাদের সমাজে আরো বহু ছেলে, মেয়ে আছে যারা বাবা-মা হারিয়ে বিপথে পা বাড়িয়েছে। অনেক ছেলেমেয়ে ভুল পথের স্বীকার, ভুলের খাদে পরে গিয়ে আর উঠতে পারেনি। হারিয়ে গেছে অন্ধকারে। আর যারা অন্ধকার পথের রাখব-বোয়াল তারা ওঁৎ পেতে থাকে কখন পরীর মতো মেয়েরা তাদের জালে আটকা পড়বে। আমরা শুধু সামনে বিষয় দেখি। ঘটনার আড়ালে আরো ঘটনা থাকে তা অনেক সময় অজানা থেকে যায়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :