শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৯ আগস্ট, ২০২১, ০৬:৪৩ সকাল
আপডেট : ০৯ আগস্ট, ২০২১, ০৬:৪৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কৃত্রিম সঙ্কট তৈরিসহ পাঁচ কারণে বাড়ছে চালের দাম

নিউজ ডেস্ক: শুল্ককর কমিয়ে বেসরকারী খাতে আমদানি বাড়ানোর পরামর্শ। খুচরা বাজারে মোটা চাল ৫০-৫২ এবং সরু চাল ৬৫-৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জনকণ্ঠ

পাঁচ কারণে নিত্যপণ্যের বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েই চলছে। প্রতিকেজি মোটা চাল ৫০-৫২, মাঝারি মানের পাইজাম-লতা ৫৫-৬০ এবং সরু মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল মান ভেদে ৬৫-৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। সরকারী বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবির তথ্যমতে, গত এক বছরের মধ্যে এই দাম সর্বোচ্চ। গত বছর আগস্ট মাসের শুরুতে স্বর্ণা ও চায়না ইরিখ্যাত প্রতিকেজি মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৫ টাকায়। কিন্তু এই চাল এখন কিনতে একজন ভোক্তাকে ৫০-৫২ টাকা গুনতে হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতিকেজি মোটা চালের দাম বেড়েছে ৫-৭ টাকা পর্যন্ত। করোনা সংক্রমণরোধে কঠোর বিধিনিষেধে সাধারণ মানুষের আয় কমলেও বেড়েছে দেশের প্রধান খাদ্যদ্রব্য চালের দাম। এতে করে চালের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। তবে সরকারের ওএমএস কার্যক্রমে ভিড় বাড়ছে সাধারণ মানুষের। এ কার্যক্রমে প্রতিকেজি চাল ৩০ এবং প্রতিকেজি খোলা আটা ১৮ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এতে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

জানা গেছে, পাঁচ কারণে খুচরা বাজারে বাড়ছে চালের দাম। অতিরিক্ত মাত্রায় আমদানি শুল্ক নির্ধারণ, বেশি মুনাফা লাভের আশায় মিল মালিকদের অতিরিক্ত মজুদ, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি, ধান-চালের মোকাম মালিকদের কারসাজি এবং বাজার নজরদারির অভাবে চালের চাম বেড়ে চলেছে। দ্রুত চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে করোনার এই সময়ে সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে। এ কারণে আমদানি বাড়িয়ে দ্রুত চালের মজুদ বাড়ানোর পাশাপাশি দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া খাদ্য মন্ত্রণালয়ের (ওএমএস) খোলা বাজার কার্যক্রম বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হয়েছে। ওএমএস কর্মসূচীর আওতায় চাল বিক্রি করা হলেও তা অপ্রতুল। আর এ কারণে লাইনে দাঁড়িয়ে চাল কিনতে গিয়ে অনেকেই না পেয়ে ফিরছেন খালি হাতে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্য সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের মতে, বাজারে চালের দাম বেড়েছে। তবে দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে সরবরাহ বাড়ানো এবং কারসাজি বন্ধে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার কথা জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, চালের বাজার বিশেষ করে পণ্যমূল্য পরিস্থিতি দেখভালের দায়িত্ব খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের। এই দুই মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইতোমধ্যে কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া শীঘ্রই এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি যৌথ বৈঠক করা হতে পারে।

জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুতে দেশে খাদ্যমজুদ বাড়াতে চাল ও গম আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। এতে করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সরকারী পর্যায়ে চাল ও গম আমদানি করছে সরকার। শুধু তাই নয়, স্বল্প সময়ে যাতে সরকার-টু-সরকার চালসহ অন্যান্য জরুরী খাদ্যপণ্য আমদানি করা যায় সেজন্য সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত আইনেও সংশোধন আনে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর পাশাপাশি সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকগুলোতে প্রায় চাল আমদানির এজেন্ডা রাখা হচ্ছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের পাশাপাশি থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম থেকে চাল আমদানি করছে সরকার। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চাল আমদানি সংক্রান্ত কোন প্রস্তাব আসলেই ক্রয় সংক্রান্ত বৈঠকে তার অনুমোদন হয়ে যাচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য, ১০ লাখ টন চাল আমদানি করে মজুদ বাড়ানো। এর পাশাপাশি বেসরকারী খাতও সমপরিমাণ চাল আমদানি করতে পারবে। বছরের অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে সরকারী পর্যায়ে চালের মজুদ এখন ভাল। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি ক্রয় সংক্রান্ত একটি বৈঠক শেষে চাল আমদানির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, মূলত খাদ্য নিরাপত্তা শক্তিশালী করতে চাল ও গম আমদানির অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। মজুদ ভাল থাকলে ভোগ্যপণ্য নিয়ে কারসাজির কোন সুযোগ থাকবে না। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির এই সময়ে বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার সব কৌশল সরকারের রয়েছে। এ কারণে চলতি বাজেটে বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের আমদানি শুল্ক হ্রাস করা হয়েছে।

বেসরকারী খাতে আমদানি কম: ভোগ্যপণ্য আমদানিতে সবসময় সতর্ক থাকেন ব্যবসায়ীরা। সর্বশেষ বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করে ব্যবসায়ীরা এবার লোকসান করায় এখন ধীরে চলো নীতি অবলম্বন করা হচ্ছে। এ কারণে চাল আমদানিতে শুল্ককর ৬২ থেকে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হলেও আমদানিকারকরা উৎসাহিত হননি। আর এ কারণে বেসরকারী খাতে চাল আমদানি কম হয়েছে। অন্যদিকে বছরের শুরুতে আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে চাল আনার জন্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু ওই সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও ব্যবসায়ীরা কাক্সিক্ষত পরিমাণ চাল আমদানি করতে পারেনি। শুল্ক সুবিধায় আমদানি করতে নতুন করে আর সময় বাড়ানোর জন্য আবেদনও করেনি চাল ব্যবসায়ীরা। এ কারণে বেসরকারী খাতে চাল আমদানি বাড়বে এমন সম্ভাবনা তেমন দেখা যাচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার বাদামতলীর এক চাল আমদানিকারক জানান, আমদানি বাড়াতে হলে শুল্ক কর ৬২ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে এনে দ্রুত আবার সুযোগ দিতে হবে। অন্যথায় ব্যবসায়ীরা আমদানি বাড়াবে না। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক দাম এবং ৬২ শতাংশ শুল্ক সমন্বয় করে চাল আমদানি করা এ মুহূর্তে ব্যবসায়ীদের জন্য বড় ঝুঁকি। এ কারণে ঝুঁকি হ্রাসে প্রয়োজনে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানির সুযোগ দেয়া হোক। তবে বাদামতলী ও বাবুবাজার চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে এবার বেশি দামে ধান কিনতে হচ্ছে, তাই চালের দাম বাড়ছে।

উল্লেখ্য, চালের বাজারের অস্থিরতা কমাতে গত ৭ জানুয়ারি আমদানিতে বিদ্যমান সাড়ে ৬২ শতাংশ শুল্ককর ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। চাল আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ ও সম্পূরক শুল্ক ২৫ শতাংশসহ মোট ৩৫ শতাংশ কমানো হয়। ওই সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত ওই আদেশে বলা হয়, চালের আমদানি শুল্ক কমানোর সম্পর্কিত এ আদেশ আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বলবত থাকবে। এই সময়সীমা ইতোমধ্যে অতিবাহিত হয়ে গেছে। মূলত স্থানীয় কৃষককে সুরক্ষা দিতে চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে সাড়ে ৬২ শতাংশ শুল্ককর আরোপ করা হয়। তবে লাগামহীনভাবে চালের মতো নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভোক্তাকে সুরক্ষা দেয়ার বিষয়টিও সামনে আসে। এ কারণে আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছিল। এদিকে, বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে মোটা চালের। এই চাল এখন ৫০ টাকার নিচে কিনতে পারছে না স্বল্প আয়ের মানুষ। অথচ এ বছর দেশে বোরো মৌসুমে চালের উৎপাদন বেশ ভাল হয়েছে। সরকারী গুদামে মজুদ বেড়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও দাম কমতির দিকে। কিন্তু দেশে মোটা চালের দাম বেড়েই চলছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকার খুচরা দোকানে মাঝারি বিআর-২৮ ও সমজাতীয় চাল মানভেদে ৫২ থেকে ৫৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছরের চেয়ে ১০ শতাংশের মতো বেশি। আর সরু মিনিকেট ও নাজিরশাইল জাত ও মানভেদে চাল ৬৫ থেকে ৭২ টাকা কেজিতে বিক্রি হয় খুচরা বাজারে। এক্ষেত্রে দাম গত বছরের চেয়ে প্রায় ১৪ শতাংশ বেশি। মহামারী করোনার এই সময়ে চালের দাম বাড়ায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। পুরান ঢাকার কাপ্তানবাজারের নূরু রাইস এজেন্সি থেকে চাল কিনছিলেন র‌্যাঙ্কিন স্ট্রিটের বাসিন্দা মাহবুব তালুকদার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কঠোর লকডাউনের মধ্যে বাজারে চালের দাম বেড়ে গেছে। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৪-৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে মোটা চালের দাম। দাম না কমলে মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে। তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি বেকাদায় পড়বে খেটে খাওয়া স্বল্প আয়ের মানুষ। ওই দোকানের স্বত্বাধিকারী হাজী নূরুল ইসলাম বলেন, চালের দাম এখন চড়া। পাইকারিতে দাম না কমা পর্যন্ত খুচরায় আর দাম কমবে না। চালের দাম কমাতে হলে বাজারে সরবরাহ বাড়ানো প্রয়োজন।

জানা গেছে, করোনা সঙ্কটকে পুঁজি করে দাম বাড়াতে মিল মালিকদের কারসাজি রয়েছে। সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ধানের মজুদ বাড়ানো হচ্ছে মোকামগুলোতে। দেশের প্রধান ধান ও চাল উৎপাদনকারী জেলা নওগাঁ, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, ঝিনাইদহ, কিশোরগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ অন্য জেলাগুলোতেও ধান-চালের মজুদ বাড়ানো হচ্ছে মোকামগুলোতে। এছাড়া বাজারে সরকারী মনিটরিংয়ের কার্যক্রম নেই বললেই চলে। এসব কারণেও বাজারে চালের দাম বেড়ে চলছে। দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে নিয়মিত অভিযান চালানোর পাশাপাশি আমদানি বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম সম্প্রতি চালের বাজার ও দাম সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে জানান, বেসরকারীভাবে আমদানিকৃত চালের পরিমাণ আশানুরূপ না হওয়ায় বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। আমদানির সিদ্ধান্তের শুরুতে কিছুটা দাম কমলেও পুনরায় ধান ও চালের দাম বাড়ছে। এ কারণে আমদানি বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি বলেন, সরকারী পর্যায়ে ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে। সেই তুলনায় বেসরকারী খাতে আমদানি কম। তবে অবৈধভাবে কেউ চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। ওএমএসের বরাদ্দ অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এরপর বাজারে মাঝারি ও সরু চালেরও দাম বাড়ছে।

দাম কম হওয়ায় ওএমএসে স্বস্তি ॥ চালের দাম কমাতে খাদ্য অধিদফতর ঢাকা মহানগরে গত ২৪ জুলাই থেকে ওএমএস কার্যক্রম আবার শুরু করেছে। এ কার্যক্রমের আওতায় স্বল্পমূল্যে চাল ও আটা বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি চাল ৩০ টাকা ও প্রতিকেজি খোলা আটা ১৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একজন ক্রেতা দিনে সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা কিনতে পারছেন। তবে ভিড় বাড়ায় অনেকেই চাল ও আটা না পেয়ে খালি হাতে ফিরে আসছেন। এ কারণে ওএমএস কার্যক্রম বাড়ানোর ওপর জোর দেয়া হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় প্রতিদিন ১০৫টি দোকানে ডিলারের মাধ্যেম ১ দশমিক ৫ টন চাল ও ১ টন আটা বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিদিন ২০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের প্রতিটিতে ৩ মে. টন চাল ও ১ মে. টন প্যাকেট আটা বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি ১ কেজি আটার প্যাকেটের দাম ২৩ টাকা। উল্লেখ্য, বাজারে ১ কেজি প্যাকেট আটার ন্যূনতম দাম ৩৬ টাকা। প্রত্যেক ক্রেতা ট্রাক থেকে সর্বোচ্চ ৩ প্যাকেট আটা কিনতে পারছেন। এছাড়াও কঠোর লকডাউনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় গত ২৫ জুলাই থেকে দেশের সকল সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় একইভাবে চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়