রাহুল রাজ: [২] সোমবার মিরপুরে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টুয়েন্টি। এই ম্যাচ খেলেই অসহ্য যন্ত্রণার জৈব সুরক্ষা বলয় থেকে বের হবে টি-টুয়েন্টি দলের সদস্যরা। অবশ্য দশ দিন পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে আবারও তাদের ঢুকতে হবে বাবলে।
[৩] ২৪ আগস্ট বাংলাদেশে আসছে নিউজিল্যান্ড। মিরপুরে কিউইদের বিপক্ষে টাইগাররা খেলবে পাঁচটি টি-টুয়েন্টি। নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখার দিন থেকেই শুরু হবে টাইগারদের পরের ধাপের বন্দিজীবন।
[৪] জিম্বাবুয়েতে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলে দেশে ফিরে এখনো পর্যন্ত বাসায় যেতে পারেননি কেউ। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে থেকেই টিম হোটেলে কোয়ারেন্টাইন শুরু করতে হয় তাদের।
[৫] যারা জিম্বাবুয়ে সফরে টেস্ট-ওয়ানডে দলেও ছিলেন, তাদের বন্দিদশা আরও দীর্ঘ হয়েছে।
[৬] অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয় কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে দলকে। ক্রিকেটাররা কঠিন সময় অতিবাহিত করছেন জানিয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান বললেন, মাহমুদউল্লাহ-সাকিবদের নিয়ে সামনের কিছুদিনের পরিকল্পনার কথা।
[৭] গত ৫-৬ মাস ধরে খেলোয়াড়রা বায়ো বাবলে, অনেক কঠিন সময় যাচ্ছে। এত কঠিন সময়ে ভালো পারফরম্যান্স করছে। ওদের কৃতিত্ব দেয়া উচিত। এ নিয়ে আমরা নিয়মিত কথা বলছি, ভাবছি।
[৮]নিউজিল্যান্ড ২৪ তারিখ চলে আসবে। বাংলাদেশ দল বায়ো বাবল থেকে বের হবে ১০ তারিখে। আমরা চিন্তা করেছি ১০ তারিখ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত ওদের বিশ্রাম দিব। ১৬ তারিখ থেকে লাল বল এবং সাদা বলের খেলোয়াড়দের নিয়ে ২০ তারিখ পর্যন্ত অনুশীলন করবো কোচদের অধীনে। ২২ তারিখের দিকে করোনা পরীক্ষা করে ২৪ তারিখে খেলোয়াড়রা বায়ো বাবলে চলে যাবে।
[৯] অস্ট্রেলিয়া দল যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে নিউজিল্যান্ডকেও তা দেয়া হবে বলে জানালেন আকরাম।বিসিবি
[১০] অনেকটা একই রকম। নিরাপত্তার কথা তো শুধু অস্ট্রেলিয়া বলে চিন্তা করলে হবে না। যদি কিছু খেলোয়াড়ের করোনা হয় তাহলে তো আমরা সিরিজই করতে পারব না। প্রয়োজনে এরচেয়েও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। অনেকটা ওরকমই হবে। অস্ট্রেলিয়ার সাথে যা যা করছি, একইভাবে নিউজিল্যান্ডের সাথেও করব। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।