পটুয়াখালী প্রতিনিধি: [২] কলেজ ছাত্রীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবু বকর ছিদ্দিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
[৩] রোববার (৮ আগষ্ট) প্রেসক্লাবের সামনে থেকে র্যাব-৮ এর সদস্যদের হাতে আটক হয় মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক।
[৪] ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলামকে (২৫) হত্যার প্রতিবাদে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত মানববন্ধনে যোগ দিতে এসেছিলেন ধর্ষণ মামলার আসামী মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক। সেখান থেকেই র্যাব-৮ এর সদস্যদের হাতে আটক হয় মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক।
[৫] গত ২৭ জুলাই মঙ্গলবার পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ছাত্রলীগ নেতা মো. আবু বকর ছিদ্দিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছিলেন এক কলেজ ছাত্রী। শিক্ষার্থী নিজে বাদী হয়ে অভিযুক্তকে একমাত্র আসমী করে কলাপাড়া থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত ছাত্রনেতা পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
[৬] মামলার এজাহার ও পুলিশ জানায়, গলাচিপা সরকারী কলেজের একাদশ শ্রেনীর ২য় বর্ষের ওই শিক্ষার্থীর সাথে দের বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় ছিদ্দিকের। এরই মাঝে বেশ কয়েকবার প্রেমের প্রস্তাব দেয় ওই ছাত্রীকে। এতে রাজি না হলে বিয়ের প্রস্তাবে সুকৌশলে আবু বকরের নিজ বাড়ি কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউপির পাঁচজুনিয়া গ্রামে বাবা মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কথা জানায় সে।
[৭] ঘটনারদিন সোমবার বেলা সারে এগারোটার দিকে ওই ছাত্রীকে বাড়িতে নিয়ে যায়। এসময় ঘরে কেউ না থাকায় ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ছিদ্দিক। আত্মরক্ষায় চিৎকার দিলে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের পর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ঘরে বসিয়ে রেখে অন্যত্র চলে যায় আসমী ছিদ্দিক।
[৮] মামলার বিবারণে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, কিছুক্ষন পরে পরিবারের সদস্যরা ঘরে ফিরে এলে তাদের কাছে ঘটনা খুলে জানালে তারা ছাত্রীকে গালমন্দ শুরু করে। পরবর্তীতে ছিদ্দিক ছাত্রীকে না চেনার ভান করলে ৯৯৯ এ কল দিয়ে তাকে উদ্ধারে পুলিশের সহায়তা চান তিনি। পরে রাত ৮ টার দিকে কলাপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
আপনার মতামত লিখুন :