সুজিৎ নন্দী: [২] ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নির্মূল হওয়ার আগ পর্যন্ত স্থানীয় কাউন্সিলরসহ ডিএনসিসির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ মাঠে সক্রিয় থাকবে।
[৩] তিনি বলেন, ডিএনসিসির ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে অদ্যাবধি ডেঙ্গু রোগী চিহ্নিত হয়নি, তাই যে সকল এলাকা এখনও ডেঙ্গু মুক্ত রয়েছে সেখানকার কেউ যাতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত না হয় সেজন্য সকলকে প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমকে আরও জোরদার করতে হবে।
[৪] রোববার বেরাইদ এলাকায় এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের লক্ষ্যে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডিএনসিসি মেয়র একথা বলেন।
[৫] ডিএনসিসি মেয়র বলেন, নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অব্যবহৃত এই জিনিসগুলো নিকটস্থ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অফিসে জমা দিলে জমাদানকারীকে পুরষ্কার দেয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
[৬] তিনি বলেন, ‘সবার ঢাকা’ মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে সবচেয়ে বেশী তথ্যবহুল ছবি সরবরাহকারীকেও পুরস্কৃত করা হবে।
[৭] আতিকুল ইসলাম বলেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অফিসে জমা দেয়া প্রতিটি অব্যবহৃত কমোড ও টায়ারের জন্য ৫০ টাকা এবং প্রতিটি ডাবের খোসা, রংয়ের কৌটা ও চিপসের প্যাকেটের জন্য ৫ টাকা হারে আর্থিক পুরষ্কার প্রদান করা হবে।
[৮] প্রধান অতিথি হিসেবে নিজের গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা শেষে তিনি নগরবাসীর মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া বিরোধী বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুনে সুসজ্জিত খোলা ট্রাকে করে ডিএনসিসির ১০ নম্বর অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
[৯] এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।