শরীফ শাওন: [২] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, মুজিব জন্মশতবর্ষ, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষপূর্তিতে এই সেন্টার অধ্যায়ন ও গবেষণার ক্ষেত্র তৈরিতে মাইল ফলক হিসেবে গণ্য হবে।
[৩] ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে শনিবার উপাচার্যের বাণীতে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি বলেন, বঙ্গমাতার অনন্য অবদান ও জীবন দর্শন অনুসরণ করে সমাজে নারী অধিকার, নেতৃত্ব, লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠায় এই সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
[৪] বাণীতে উপাচার্য বলেন, এই মহীয়সী নারী ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী। একজন সাবলীল, স্নেহময়ী ও পরিশ্রমী বাঙালি নারী ছিলেন তিনি। একটি সুপ্ত প্রতিভা ও জীবন দর্শন তাঁর মধ্যে লুকায়িত ছিল, যার বহিঃপ্রকাশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছাত্র ও যুব রাজনৈতিক জীবনে ঘটলেও তা অধিকতর দৃশ্যমান রূপ পায় বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের কঠিনতম সময়ে বিশেষকরে ষাট ও সত্তরের দশকের প্রথমার্ধে। তিনি ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
[৫] বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু হিসেবে গড়ে ওঠা, রাজনৈতিক সংগঠনকে সুসংগঠিত রাখা এবং ক্রান্তিকালে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পর্দার আড়ালে থেকে সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সকল সংগ্রাম-আন্দোলনের প্রেরণা ও আত্মবিশ্বাসের উৎস। এজন্য মহীয়সী নারী হিসেবে বঙ্গমাতা বাঙালির হৃদয়ে অপরিসীম শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় চির ভাস্বর হয়ে থাকবেন।
আপনার মতামত লিখুন :