শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ০৭ আগস্ট, ২০২১, ০২:৪৯ রাত
আপডেট : ০৭ আগস্ট, ২০২১, ০২:৪৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফিরোজ আহমেদ: গণমাধ্যম এবং ‘মিষ্টি মিষ্টি সমালোচনা’!

ফিরোজ আহমেদ: রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোর এই নিছক ব্যক্তিকে দমনমূলক ব্যবহার নিয়ে কোনো গণমাধ্যম কোনো লেখা প্রকাশ করেছে কোন বাংলা গণমাধ্যম? বা দমন হওয়া লোকগুলোর আইনি অধিকার নিয়ে? ডয়েচেভেলের একটা লেখা দেখেছিলাম, সেখানে হেলেনা জাহাঙ্গীরের ঘটনাটার একটা পর্যালোচনা ছিলো। পরীমনি বিষয়েও হয়তো তারাই লিখবে। গতকাল (৫ আগস্ট) পর্যন্ত আর কোনো লেখা চোখে পড়েনি, আমার নজর এড়িয়ে যেতে পারে কোন কোনটা।

এই যে দেশে টিকে থাকলে হলে লেখা যাবে না, এই পরিস্থিতির জন্য অর্ধেকটা দায়ী দেশের অবস্থা, এটা সত্যি। কিন্তু বাকি অর্ধেকটার জন্য দায়ী এই নিজেকে কাটছাঁট করতে থাকা গণমাধ্যমও। বিশেষ করে ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে বাংলাদেশের এমনিতেই মিইয়ে থাকা গণমাধ্যম ধীরে ধীরে গুটিয়ে নিতে থাকে। অবস্থা এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে গণমাধ্যম সেন্সর করবে কী! লেখকরা নিজেরাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেন্সর করে লেখা দেন, খামাখা পত্রিকাকে বিব্রত করতে চান না। পরস্পরের সাথে প্রতিযোগিতা করে মোসাহেবী করতে করতে এখন সরকারকে না ঘাঁটানোকে তারা সাংবাদিকতার মানদণ্ড বানিয়ে ফেলেছেন।

এ বিষয়ে পুরনো একটা সত্যিকারের ঘটনা মনে পড়ছে। একবার লেখা চাওয়ার উত্তরে একজন সম্পাদকীয় পাতার বড় ভাইকে যখন বললাম, অমুক বিষয়ে একটা লেখা দিই। তিনি আঁতকে উঠে লিখলেন, ‘না-না-না-না’। বললাম, ভাই একটা না তেই তো চলতো, চারটা কেন! আর বিষয়টা তো আমার কাছে খুব নিরীহ বলেই মনে হয়, কোনো মারদাঙ্গা বিষয় না। উত্তরে তিনি বললেন, পরিস্থিতি বোঝাতে চারটা নায়ের কমে হবে না। আপনি তো বিষয়টা নিরীহ ভাবতেছেন, এইটাতে অমুকের মতো আছে, এটা নিয়ে কিছু বলা যাবে না।

তো গণমাধ্যম যদি গুটিয়ে থাকে, এভাবে নিজেকে লুকিয়ে ফেলে, মিষ্টি মিষ্টি সমালোচনা করে, রাষ্ট্রীয় শক্তির এই ভয়াবহ রকমের অপচয় নিয়ে নীরব থাকে, শক্তিমানেরাও একটা বার্তা পায়: যা খুশি তাই তারা করতে পারবে। তাদেরও একটা অভ্যস্ততা তৈরি হয়। সেটাই আমরা দেখছি।
প্রসঙ্গত, আজকের (৬ আগস্ট) প্রথম আলোতে একটা লেখা এসেছে, অধ্যাপক আসিফ নজরুলের। হাতে গোনা কয়েকটা পত্রিকা ও ব্যক্তি টিমটিমে গণমাধ্যমের বাতিটি জ্বালিয়ে রেখেছেন। এই গ্রেফতারগুলো নিয়ে সংক্ষেপে যেটা বলা যায়, আগে ঠিক করা হয়েছে কাকে কাকে শায়েস্তা করা হবে, তারপর তাদের অপরাধ কী কী হবে সেটা ঠিক করা হয়েছে। তাদের অপরাধ তাদের বিপদে ফেলেনি (অপরাধ কোন কোনটা যদি তারা করেও থাকেন), তাদের বিপদে ফেলেছে তাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে অন্য সব শক্তিমানদের ক্ষমতার যুদ্ধ। এই ক্ষমতাধরদের খামখেয়াল বা প্রতিহিংসায় একদম বাইরের কেউও আগুনে পুড়ে যেতে পারেন। এই হলো বাংলাদেশ। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়