লিহান লিমা: [২] স্প্রিন্টার ক্রিস্টিসিনা সিমানোউস্কায়াকে হুট করেই অলিম্পিক ভিলেজ থেকে দেশে ফিরতে জোর করায় বেলারুশের দুই কোচের অ্যাক্রিডিশন কার্ড বাতিল করেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। দুই দিন আগে কোচ আর্থার সুমাক ও ইউরি মোইসেভিচের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। গার্ডিয়ান
[৩]এর আগে কোচের নির্দেশে দেশে ফিরতে অস্বীকৃতি জানিয়ে টোকিও বিমানবন্দরে জাপান পুলিশ ও অলিম্পক কমিটির সুরক্ষা চান ক্রিস্টিসিনা। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘দেশে ফিরলে তিনি শাস্তির সম্মুখীন হবে। এমনকি তাকে জাতীয় দল থেকে বহিষ্কারও করা হতে পারে। পোল্যান্ড তাকে মানবিক ভিসা প্রদান করার পর বুধবার ওয়ারশে পৌঁছান তিনি।’
[৪] পোল্যান্ডে আসার পর বেলারুশের একনায়ক প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বেলারুশিয়ানরা ভীত নন, তীব্র চাপের মুখে থাকা সত্ত্বেও তারা কথা বলতে ভয় পান না।’ তিনি আরো জানান, বেলারুশ থেকে তার দাদী তাকে জানিয়েছেন, কোচের সমালোচনা করায় বেলারুশের রাষ্ট্রায়াত্ত টিভিতে তাকে ‘দেশদ্রোহী’ এবং ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ বলা হচ্ছে।
[৫] ২৬ বছর ধরে বেলারুশের ক্ষমতায় তাকে লুকাশেঙ্কো গত আগস্টের নির্বাচনে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর তার বিরুদ্ধে দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। লুকাশেঙ্কো কঠোর হস্তে বিক্ষোভ দমন করে নির্বিচারে ধর-পাকড় অব্যাহত রাখেন, বিরোধী রাজনীতিবিদ, অধিকারকর্মী, সমালোচক এবং সাংবাদিকদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও নির্বাসন নিতে বাধ্য করেন। তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে লুকাশেঙ্কো রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সমর্থন সমর্থন পাচ্ছেন।