কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] হিরোশিমা ট্র্যাজেডির ৭৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বলেছেন, ২০১৯ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশে এসেই জানলাম তারা হিরোশিমা ও নাগাসাকির ট্র্যাজেডির বিষয়ে জানেন এবং শান্তির সপক্ষে সোচ্চার হন।
[৩] এমনকি সাসাকি সাদাকোর কাগজের সারসের গল্প এদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে রয়েছে। এছাড়া অনেক বাংলাদেশি কয়েক দশক ধরে ৬ আগস্ট হিরোশিমা ও নাগাসাকির ট্র্যাজেডি স্মরণ করে চলেছেন। বাংলাদেশ থেকে জাপানের প্রতি সেই মমত্ববোধ আমাদের কাছে অনেক অর্থবহ।
[৪] আমি আশা করি এ ৬ আগস্ট মানুষকে, বিশেষত তরুণ প্রজন্মকে যুদ্ধের ভয়াবহতা ও শান্তির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে অনুপ্রাণিত করবে। যেহেতু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মানবিক সংকট এবং মহামারি জাতীয় সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে একসঙ্গে শান্তির বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা ও তা ভাগ করে নেওয়ার বিষয়টি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
[৫] হিরোশিমায় আণবিক বোমায় হতাহতদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভে খোদাই করা আছে ‘এখানে সব আত্মাকে চিরশান্তিতে থাকতে দাও, অশুভের পুনরাবৃত্তি যেন আর না হয়’। জাপান আণবিক বোমামুক্ত বিশ্ব তৈরির জন্য অন্য সব দেশ ও জনগণের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চায়।
[৬] জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি সত্যিই বাংলাদেশি জনগণের প্রশংসা করি যারা ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা দেখিয়েছেন এবং বিশ্ব শান্তির জন্য দৃঢ় বার্তা প্রকাশ করেছেন। আমি আশা করি আমরা, জাপান ও বাংলাদেশের জনগণ, সবার জন্য এ বিশ্বকে আরো শান্তিময়-সম্প্রীতির বিশ্ব করে গড়ে তোলার জন্য একসঙ্গে কাজ করে যাবো।
আপনার মতামত লিখুন :