স্পোর্টস ডেস্ক : [২] বয়সটা ৪২ ছুঁই ছুঁই। তবে ক্রিকেটকে ভালোবেসে বয়সকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন ক্রিস গেইল। মাঝখানে একবার অবসরের গুঞ্জন উঠলেও সেটিকে তুড়ি মেড়ে উড়িয়ে দিয়ে এখনও বাইশ গজ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ‘ইউনিভার্স বস’।
[৩] অবসরের প্রশ্ন উঠতেই বিধ্বংসী এই ক্রিকেটার বেশ কিছুদিন আগে জানিয়েছিলেন, অন্তত ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত ক্রিকেট খেলে যাবেন তিনি। গেইলের অবসর নিয়ে এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড রসিকতা করে বলেছেন, সম্ভব হলে ৩৩৩ বছর ক্রিকেট খেলতে চান গেইল।
[৪] টেস্ট ও ওয়ানডেতে অনিয়মিত হয়ে পড়লেও উইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য গেইল। ক্রিকেটের স্বল্প ওভারের এই ফরম্যাটে উইন্ডিজের জার্সিতে পাকিস্তান সিরিজে খেলছেন তিনি। এছাড়া ছিলেন ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও।
[৫] পারফরম্যান্সে কিছুটা ভাটা পড়লেও ৪২ বছর বয়সি এই গেইলের ওপরই ভরসা রাখছে টি-টোয়েন্টিতে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ব্যাটিং আক্রমণে দলটির পরিকল্পনার অংশ এই মারকুটে ব্যাটসম্যান। গেইলের ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে অধিনায়ক পোলার্ড বলেন, যে সবসময়ই আমাদের সঙ্গে ছিল। সে বলেছে যে, সে ৪৫ কিংবা ৩৩৩ বছর বয়স পর্যন্ত ক্রিকেট খেলতে চায়। দিন শেষে আমরা এই মানুষটির জন্য ভালো কিছুই কামনা করি।
[৬] জাতীয় দলে বরাবরই ৪৫ নম্বর জার্সি গায়ে খেলেন গেইল। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) তাকে খেলতে দেখা যায় ৩৩৩ নম্বর জার্সিতে। মূলত টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৩৩ রানকে স্বরণীয় করে রাখতেই এই কাজটি করে থাকেন গেইল।
[৭] ২০১০ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪৩৭ বলে ৩৩৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন এই বাহাতি ব্যাটসম্যান। ওপেনিংয়ে নেমে ৩৪টি চার ও ৯টি ছয়ের মারে এই সংখ্যক রান করেছিলেন এই ক্যারিবীয়। উইন্ডিজের হয়ে ২০১২ ও ২০১৬ সালে দুবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিলেন গেইল।
[৮] দলটির হয়ে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৪৭৮ ম্যাচে মাঠে নেমে মোট ১৯৫৪৮ রান করেছেন তিনি। এছাড়া বল হাতে অফ স্পিনের শিকার বানিয়েছেন মোট ২৫৯ উইকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৫৫০টি ছক্কা হাঁকানোর বিরল কীর্তি গেইলের দখলেই। - ক্রিকফ্রেঞ্জি
আপনার মতামত লিখুন :