বিনোদন ডেস্ক : চিত্রনায়িকা পরীমণিকে নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে স্ট্যাস্টাস দেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। ফেসবুক থেকে
তার স্ট্যাস্টাসটি হুবহু তুলে ধরা হলে:
মেরুদণ্ডহীন হয়ে চুপচাপ বা ঘাপটি মেরে বসে থাকার স্বভাব আমার নেই। তাই পরীমনিকে নিয়ে কিছু বলতেই হচ্ছে। পরীমনি আমার কাছে ইন্ডাস্ট্রির সব থেকে সুন্দরী, আবেদনময়ী নায়িকা। তাঁর সঙ্গে আমার কখনো পরিচয় হয়নি। কিন্তু আমি তাঁর সৌন্দর্যে মুগ্ধ।
পরীমনির নাম, রূপের প্রশংসা প্রথম আমার এক সাংবাদিক বন্ধুর মুখে শুনেছিলাম। তখনো তাঁর অভিনীত কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। তিনি অনেক সিনেমায় চুক্তি করেছেন, এই নিয়েই খবরে থাকতেন।
ছবির সংখ্যা অল্প বা মানহীন ছবি, তবু কীভাবে পরীমনি এত আলোচনায়, সেটা নিয়ে কোনো দিন আমার মাথাব্যথা ছিল না। কিংবা তাঁর কত দামি বাড়ি, গাড়ি সেসব নিয়েও না। কে কীভাবে টাকা আয় করবে, সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। যদি সে সমাজবিরোধী কাজ করে আয়ের পথ বেছে নেয়, তার জন্য আইন আছে।
মিডিয়ায় কাজ করার কারণে পরীমনি সম্পর্কে এই–সেই কথা কানে চলে আসে। যেমন পরীমনির বিগশট বয়ফ্রেন্ডস, জন্মদিনের বিশাল পার্টির স্পনসরশিপ। তাঁর জন্মদিনের পার্টিতে গিয়ে বিগলিত পোজে তারকা, সাংবাদিকদের ছবি। যেন এই পার্টিতে গিয়েই কেউ কেউ জাতে উঠল।
এসব শুনে আমার মনে হতো, মেয়েটার কি কোনো সত্যিকার বন্ধু নেই, যে তাঁকে একটু গাইড করবে? না হয় সে এতিম, অশিক্ষিত, ক্লাসহীন সমাজ থেকে উঠে আসা। কিন্তু ভদ্রলোক যাঁরা তাঁর আশপাশে থাকতেন, তাঁরা শুধু মেয়েটার কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধাই নিলেন, একটুও দায়িত্ববান হতে পারলেন না? পর্দার নায়িকার জীবন বাস্তবে যাপন করে একটা মানুষ কীভাবে বাঁচে? কবে যে কী একটা দুর্ঘটনা ঘটে, অসম্ভব সুন্দরী এই নায়িকার জন্য আমার এই শঙ্কাটা হতো।
পরীমনির এই সংকট সময়ে একজন নারী হিসেবে আমি চাই, তাঁর সঙ্গে যেন সঠিক বিচার করা হয়। আর যদি তাঁর অপরাধ হয় উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন, তাহলে যারা তাঁকে শৃঙ্খলা থেকে বের করল, তাদেরকেও ধরা হোক, আইনের আওতায় আনা হোক। তাদেরও বিচার করা হোক। কারণ, আমরা সবাই জানি এই কাজগুলো একা একা করা যায় না। যদি তা না হয়, তাহলে এই সমাজব্যবস্থার প্রতি ধিক্কার জানিয়ে আমি এই সুন্দরী নায়িকাটির সুন্দর জীবনের প্রার্থনায় থাকব। ফেসবুক থেকে