আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এবছরের জুলাই মাস পর্যন্ত ১৫ জন নিরাপত্তা কর্মী এবং ১৯ জন বেসামরিক মানুষ সশস্ত্র হামলায় প্রাণ হারিয়েছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদন জানা যাচ্ছে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২০১৯-২০ বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, কাশ্মীরে ১৯৯০-এর দশকে জঙ্গী কার্যকলাপ শুরু হবার পর থেকে ২০১৯-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১৪,০৫৪ জন বেসামরিক মানুষ এবং ৫,২৯৪ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য প্রাণ হারিয়েছে। কিন্তু প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা বলা হয় এর থেকে অনেক বেশি। বিবিসি
[৩] বশির আহমদ বাটের ভাইয়ের বাসার দেয়ালে এখনও ছোপ ছোপ রক্তের দাগ সর্বক্ষণ মনে করিয়ে দেয় সেই রাতের কথা, যেদিন কাশ্মীরের দক্ষিণে পুলওয়ামায় তার পরিবারের তিনজন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিলো। ফয়েজ আহমদ বাট ছিলেন কাশ্মীর পুলিশের সদস্য। তিনি রাতে ঘুমাতে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঠিক এমন সময় দরজায় টোকা পড়ল। তিনি দেখতে গেলেন কে এসেছে। পেছনে ছিলেন তার স্ত্রী ও কন্যা। রাতের বেলায় দরজা খোলার ঝুঁকি তিনি খুব ভাল করেই জানতেন। দরজা খুলতেই সন্দেহভাজন দু জঙ্গীর গুলিতে প্রাণ হারালেন তিনি, তার স্ত্রী ও য়ে।
[৪] ফয়েজের ছেলে ভারতের ইন্ডিয়ান টেরিটোরিয়াল আর্মির সৈনিক। তার পরিবারকে যেদিন হত্যা করা হয়, তিনি সেদিন তিনি বাইরে ছিলেন। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ভারতশাসিত কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বিলোপ করে রাজ্যটিকে কেন্দ্রশাসিত দুটি অঞ্চলে বিভক্ত করার পর দুবছর কেটে গেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যুক্তি দেখিয়েছিলেন, বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করতে এটার প্রয়োজন ছিলো।
[৫] কিন্তু দু'বছর পরেও নিরাপত্তা বাহিনীতে কর্মরত স্থানীয়দের এবং বেসামরিক মানুষকে এখনও সন্দেহভাজন জঙ্গীরা লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :