ফরহাদ আমিন: [২] কক্সবাজারের টেকনাফে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নুরুল হক প্রকাশ নুরু (৪৫ )নামে এক রোহিঙ্গা। নিহত রোহিঙ্গা ডাকাত নুরু বাহিনীর প্রধান ছিলেন বলে দাবি র্যাবের।
[৩] বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) ভোররাতে উপজেলার হ্নীলা ইউপি দমদমিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
[৪] নিহত রোহিঙ্গা ডাকাত সেই হ্নীলা ইউপি মোচনী ২৬নম্বর ক্যাম্পের বল্ক সি বাসিন্দা মৃত আবুল বশর প্রকাশ আহমেদের ছেলে।
[৫] এ সময় র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন- সিপিএ মো. ইয়াছিন (২৮), কনস্টেবল মো. মাহফুজুল আলম (৩০)।
[৫] বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র্যাব-১৫ ক্যাম্পের সিঃ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটিদল অপহরণ ও ডাকাতির খবর পেয়ে দমদমিয়া এলাকায় অভিযানে যায়। ডাকাত দল র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অর্তকিতভাবে গুলি চালায়। এতে র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়। র্যাবও নিজেদের আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে ডাকাত দল পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে তিনটি দেশীয় তৈরি লম্বা বন্দুক, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন,
৪ রাউন্ড গুলিসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রোহিঙ্গা ডাকাত নুরুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় র্যাবের আহত দুই সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
[৭] টেকনাফ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শুভ্র দেব বলেন, রাতে র্যাব তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তারমধ্যে একজন পরিচয়ে রোহিঙ্গা সাধারণ লোক ও দুইজন র্যাবের সদস্য ছিলেন। হাসপাতালে আনার আগেই সাধারণ লোক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। তবে তার শরীরের তিনটি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। আহত দুই র্যাব সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :