রুবেল মজুমদার: [২] কুমিল্লায় সিজার ছাড়াই প্রসূতির চার সন্তান প্রসব হয়েছে। এমন ব্যতিক্রম ও প্রশংসনীয় ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইলেন শহরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে গাইনী চিকিৎসক ডা. শাহিদা আক্তার রাখি ।
[৩] মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) বিকেল ৩টায় গাইনি সার্জন ডা. শাহিদা আক্তার রাখির তত্ত্বাবধানে স্বাভাবিকভাবেই এই চারটি শিশুর জন্ম হয়। জন্ম নেওয়া চারজনের মধ্যে দুজন ছেলে ও দুজন মেয়ে শিশু রয়েছে। তবে তারা এখনো বিপদমুক্ত নয়।
[৪] চার শিশুর মা কুমিল্লা সদর দক্ষিণের লালবাগ এলাকার জিল্লুর রহমানের স্ত্রী সাদিয়া আক্তার।
[৫] চার নবজাতকের বাবা জিল্লুর রহমান বলেন, “বর্তমানে হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বা রোগীকে নিয়ে গেলেই সিজার করে ফেলে। তবে ডা. শাহিদা আক্তার রাখি আমার স্ত্রীকে চেকআপ করে বলেন, বাচ্চাগুলোর পজিশন ঠিক আছে। তিনি নরমাল ডেলিভারি করার জন্য বলেন। আমরাও রাজি হয়ে যাই। আল্লাহর রহমতে কোনও সমস্যা ছাড়াই চার সন্তানের বাবা হলাম। শিশুরা এনআইসিইউ আছে। আমি সবার দোয়া কামনা করছি।”
[৬] গাইনি ডাক্তার ডা. শাহিদা আক্তার রাখি বলেন, “স্বাভাবিকভাবে চার শিশুর জন্ম হওয়ায় আমি খুবই খুশি। প্রসূতি সাদিয়া আক্তারও সুস্থ আছেন। কোনওরকম সিজার ছাড়াই নরমাল ডেলিভারিতে চারশিশুর জন্মের ঘটনা কুমিল্লায় এর আগে ঘটেছে কি না শুনিনি। তার আগে আমি একসঙ্গে তিন শিশুর নরমাল ডেলিভারি করেছি। আমি নিয়মিত তাদের খোঁজ খরব রাখছি। চার শিশুর মধ্যে প্রথম জনের ওজন প্রায় ১১০০ গ্রাম, দ্বিতীয় জনের ১০০০ গ্রাম, তৃতীয় জনের ওজন ৯০০ গ্রাম এবং চতুর্থ জনের ওজন ৮০০ গ্রাম।
[৭] তিনি আরও বলেন, “অনেক রোগী অভিযোগ করেন, হাসপাতালে গেলে সিজার করানো হয়। সেই ধারণাটা ভুল। আমরা চেকআপ করে বাচ্চার অবস্থা ভাল থাকলে প্রসূতিকে রিস্ক বেনিফিট কাউন্সেলিং করি। তখন প্রসূতি মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকলে স্বাভাবিক প্রসবই করি। এতে কিছু সময় ঝুঁকি থাকে। তবুও সবকিছু ঠিক থাকলে স্বাভাবিকভাবেই সন্তান প্রসবের চেষ্টা করি।”
[৮] এর আগে সিজার ছাড়া নরমাল ডেলিভারীতে চার শিশুর জন্মের ঘটনা কুমিল্লায় ঘটেছে বলে জানা যায়নি। গাইনী চিকিৎসক ডা. শাহিদা আক্তার রাখির প্রশংসা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
আপনার মতামত লিখুন :