ড. এমদাদুল হক: ‘আনাল হক’- অর্থাৎ, আমি কোনো সীমায় বদ্ধ নই। যার অভাব আছে, সে সীমায় বদ্ধ। আমি অভাবমুক্ত। তাই আমি কী খাব, কী পরব, কোথায় থাকব- এ নিয়ে আমার চিন্তা নেই। তুমি কী খাবে, কী পরবে, কোথায় থাকবে- এ নিয়ে আমার চিন্তা। তাই আমি পালনকর্তা। আমার জন্ম নেই, মৃত্যু নেই। এমন কেউ নেই, যে আমার ক্ষতি করতে পারে। এমন কেউ নেই, যে আমার উপকার করতে পারে। তাই আমার সুরক্ষার প্রয়োজন নেই। আমি তোমার কাছ থেকে সুরক্ষা চাই না, বরং আমি তোমাকে সুরক্ষা দিই। তাই আমি রক্ষাকর্তা। আমি আমার স্বার্থে কিছু করি না। কারণ আমার কোনো স্বার্থ নেই। আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমি তোমাকে ব্যবহার করি না। কারণ আমার কোনো স্বপ্ন নেই। আমি যা করি, তা তোমার স্বপ্ন পূরণের জন্য করি। তাই আমি প্রেম। আমি স্বাধীন। তাই কারো স্বাধীনতা হরণ করি না। আমি মুক্ত।
তাই কাউকে বদ্ধ করি না। আমি দাতা। তাই কাউকে শোষণ করি না। আমি হক। তাই আমার জাত নেই। আমি নিরপেক্ষ। তাই আমার ধর্ম নেই। আমি পূর্ণ। তাই কারো মুখাপেক্ষী নই। তাই আমার অভিযোগ নেই। আমি সন্তুষ্ট। তাই আমাকে সন্তুষ্ট করার কেউ নেই। সুতরাং, আমার প্রত্যাশা নেই। তাই আমি আদেশ করি না- নিষেধও করি না। এবং আদেশ-নিষেধ মান্য করার জন্য পুরস্কার দিই না- অমান্য করার জন্য শাস্তি দিই না। আমার সমকক্ষ কেউ নেই। তাই আমি বড় নই- ছোটও নই। আমি অনন্য। তাই আমার তুলনা আমি। আমি আছি। কিন্তু আমার জন্য আমি আছি না। আমি আছি তোমার জন্য। তাই আমি দয়াল। সে-ই সর্বোত্তম স্বামী কিংবা স্ত্রী যে ‘আনাল হক’-ভাবে জীবনযাপন করে। সে-ই সর্বোত্তম পিতা কিংবা সন্তান যে ‘আনাল হক’-ভাবে জীবনযাপন করে। সে-ই সর্বোত্তম গুরু কিংবা শিষ্য যে ‘আনাল হক’-ভাবে জীবনযাপন করে। সে-ই সর্বোত্তম মানুষ যে ‘আনাল হক’-ভাবে বাঁচে এবং অবশ্যই, যে ‘আনাল-হক’-ভাবে বাঁচে, সে ‘আল-হক’। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :